ভৈরবে ডুবে যাওয়া ট্রলার ৪৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার, ভেতরে পাওয়া যায়নি নিখোঁজদের
প্রায় ৪৪ ঘণ্টা পর কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উদ্ধারকারী জাহাজ। তবে নিখোঁজ থাকা ৬ যাত্রীর কাউকেই ট্রলারের ভেতরে পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদের ধারণা, স্রোতের তোড়ে নিখোঁজ যাত্রীরা অন্যত্র ভেসে গেছেন।
রোববার (২৪ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে ট্রলারটিকে নদীর তলদেশ থেকে উদ্ধার করে তীরে আনা হয়।
ভৈরব ও আশুগঞ্জ নৌবন্দরের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম জানান, গতকাল সন্ধ্যায় ট্রলারটিকে শনাক্ত করে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ দিয়ে টেনে আশুগঞ্জর চরসোনারামপুরে নদীর তীরের কাছে নেওয়া হয়। এরপর রোববার সকাল থেকে আবার ট্রলারটির উদ্ধার কাজ শুরু করে উদ্ধারকারী জাহাজ।
দুপুর ১২টা নাগাদ ট্রলারটি ভেসে উঠে। পরে ট্রলারের ভেতরে নিখোঁজদের কেউ আছেন কিনা- সেটি খুঁজে দেখেন ডুবুরিরা। তবে ভেতরে কাউকেই পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
ভৈরব ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক জানান, "ধারণা করা হচ্ছে নিখোঁজরা স্রোতের তোড়ে অন্যত্র ভেসে গেছেন। যেহেতু ঘটনার দুইদিন হতে চলেছে, সেহেতু নিখোঁজদের কাউকে জীবিত উদ্ধারের আশা ক্ষীণ। তবে এখনও তাদেরকে উদ্ধারের জন্য নদীতে অভিযান চালাচ্ছেন ডুবুরিরা।"
এর আগে, গত শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের চরসোনামাপুর থেকে ভৈরব নৌকাঘাট যাওয়ার পথে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর কাছে ২০-২২ যাত্রীবোঝাই একটি ট্রলারকে ধাক্কা দেয় অপর একটি বাল্কহেড। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
তবে ঘটনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন ভৈরব হাইওয়ে থানার কনস্টেবল মো. সোহেল রানা ও তার শিশু সন্তান ইভা এবং রাইসুলসহ ৬ যাত্রী।
এ ঘটনায় নিহতরা হলেন– ভৈরবের কমলনগর এলাকার সুবর্ণা বেগম ও আমলাপাড়া এলাকার আরাধ্য দে এবং নিখোঁজ থাকা সোহেল রানার স্ত্রী মৌসুমি আক্তার।