হত্যামামলায় গ্রেপ্তার সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি
সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় করা একটি হত্যামামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যায় বারিধারা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল।
ডিবির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, 'দীপু মনিকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হচ্ছে।'
ডিবির এক উপ-কমিশনার নাম প্রকাশ না করার শর্তে টিবিএসকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, 'ঠিক কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে, সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না। উনাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হচ্ছে। সেখানে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানানো হবে।'
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের হয়ে জয়লাভের পর ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন।
আওয়ামী লীগ সরকারের এরপরের দুই মেয়াদে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন দীপু মনি। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি পুনর্নির্বাচিত হলে তিনি সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া, তিনি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক।
চাঁদপুরে বিএনপি নেতার বাড়িতে হামলার ঘটনায় দীপু মনি ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা
এর আগে গত ১৫ আগস্ট চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের বাসায় হামলার ঘটনায় দীপু মনি ও তার ভাই ডা. জেআর ওয়াদুদ টিপুর বিরুদ্ধে মামলা হয়। এছাড়া মামলায় জ্ঞাত ৫১০ ও অজ্ঞাতনামা ১০০০-১২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মহসিন আলম জানান, চাঁদপুর পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আ. রাজ্জাক হাওলাদারের দায়ের করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার মামলাটি দায়ের করা হয়।
হামলার সময় চিকিৎসার জন্য বিদেশে থাকা শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক দাবি করেন, হামলাকারীরা অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এবং রাজনৈতিক প্রতিশোধ নিতে এ হামলা করেছে।
গত ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় ১০০০-১২০০ জনের একটি সশস্ত্র দল জেএম সেনগুপ্ত রোডে অবস্থিত মানিকের 'মনিরা ভবন' ভাঙচুর, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ করে। আসামিদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বর্তমান ও সাবেক নেতারা রয়েছেন।
ওসি বলেন, নিরপরাধ ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে আইনি প্রক্রিয়া চলছে।