৬ মামলায় জামিন, কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন
হত্যামামলাসহ সবগুলো মামলা থেকে জামিনের পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন সাবেক পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এর আগে খিলগাঁও থানার দুটি হত্যামামলা, দুটি হত্যাচেষ্টা মামলা এবং পল্টন থানার আরও দুটি হত্যাচেষ্টা মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান ও খিলগাঁও থানার মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
আর কোনো মামলা না থাকায় সাবের হোসেন চৌধুরীর কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী মোর্শেদ আলম শাহীন।
পাঁচ দিনের রিমান্ড চলাকালে আজ সাবের হোসেন চৌধুরীকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপ-পরিদর্শক নাজমুল হাসান আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।
আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, জিজ্ঞাসাবাদে সাবের হোসেন চৌধুরী কোনো প্রশ্নেরই উত্তর দিতে পারছেন না। কথোপকথনে জানা গেছে যে, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ ও হৃদরোগে আক্রান্ত। তার হার্টে তিনটি রিং পরানো হয়েছে। বর্তমান শারীরিক পরিস্থিতিতে পুলিশ হেফাজতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আশানুরূপ তথ্য পাওয়া যাবে না। এ জন্য আদালতের নির্দেশ মোতাবেক পাঁচদিনের পুলিশ রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ না করে আদালতে পাঠানো হলো।
এর আগে গত রোববার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া খিলগাঁও থানার পৃথক চার মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর বিএনপির কর্মসূচি ঘিরে সারাদেশের নেতা-কর্মীরা যখন জড়ো হতে থাকেন, তখন মামলাগুলোর আসামিরা বিএনপির সমাবেশ বানচালের সিদ্ধান্ত নেন। ২০২২ সালের ৭ তারা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালান।
হামলার শিকার হন কার্যালয়ে থাকা বিএনপি নেতা-কর্মীরাও। এ সময় মকবুল নামে বিএনপির এক কর্মী আহত হন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় হত্যামামলা করা হয়।