উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে তাড়াহুড়ো করবে না সরকার: সালেহউদ্দিন আহমেদ
স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়া হুট করে সরকার বাস্তবায়ন করবে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। একইসাথে স্বাচ্ছন্দ্যে উত্তরণ করা যায়, এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়েই বিষয়টি দেখা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সম্পাদনের আলোচনা' শীর্ষক এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন অর্থ উপদেষ্টা। যদিও আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার কথা বলে আসছিল।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, "উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। হুট করে এটা হবে না। হবে যৌক্তিক সময়ে। এ উত্তরণ হবে বাংলাদেশের স্বার্থে ও জনগণের স্বার্থে। যত বেশি দেশের সঙ্গে সম্ভব এফটিএ করবে সরকার। বিশেষ করে জাপান, ইন্দোনেশিয়া, ভারতের সঙ্গে চুক্তি করা। মালয়েশিয়ার সঙ্গেও কাজ করা হবে।"
অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়-সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন ও বাণিজ্যসচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লো বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য বৈঠক করেন।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, "বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য একটি সম্ভাবনাময় এলাকা সিঙ্গাপুর। পণ্যের পাশাপাশি সেবা এবং বিনিয়োগ খাতেও সিঙ্গাপুরের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের। এ কারণেই প্রাথমিকভাবে দুই দেশের মধ্যে এফটিএ স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।"
বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লো বলেন, "ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সিঙ্গাপুরের জন্য বাংলাদেশের চট্টগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চট্টগ্রামের বে-টার্মিনালে সিঙ্গাপুরের শিপিং কোম্পানি পিএসএ বিনিয়োগ করছে। বে-টার্মিনাল ট্রান্সফরমেশনের মাধ্যমে এটি বৃহৎ আন্তর্জাতিক বন্দরে উপনীত হবে। এ সূত্রে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।"