গাজীপুরে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ও ডরিন গ্রুপের শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীন সারাবো এলাকায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা এক মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে চক্রবর্তী এলাকায় চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে আজও বিক্ষোভ করছেন। এ নিয়ে টানা পাঁচদিন বিক্ষোভ করছেন তারা। এছাড়া ডরিন গ্রুপের শ্রমিকরাও কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও যানবাহনের চালকদের।
শিল্প পুলিশ জানায়, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে পোশাক ও সিরামিক কারখানায় ৪১ হাজার কর্মী রয়েছে। ওই কারখানার শ্রমিকেরা সপ্তাহখানেক ধরেই সড়ক অবরোধ করে অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানাচ্ছেন। এই দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলন করে আসছেন।
গতকাল সোমবার সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ১৩ ঘণ্টা চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে রাখেন শ্রমিকরা। রাতে অবরোধ তুলে নিলেও দাবি পূরণ না হওয়ায় পঞ্চম দিনের মতো আজ সকাল ১০টা থেকে ফের ওই সড়ক অবরোধ করে এক মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানাচ্ছেন তারা।
অপরদিকে মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীন জিরানী এলাকায় ডরিন গ্রুপের তিনটি কারখানার (ডরিন গার্মেন্টস লিমিটেড, ডরিন অ্যাপারেলস ও ডরিন ওয়াশিং কারখানা) শ্রমিকরা চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
শ্রমিকদের দাবি, পূর্বঘোষণা ছাড়াই মঙ্গলবার সকালে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ওই কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে তাদের অবরোধ। সেইসাথে ১৩ জন অভিযুক্ত স্টাফকে বহিষ্কার ও শতাধিক ছাঁটাইকৃত শ্রমিককে পুনর্বহালের দাবিও রয়েছে তাদের। ওই কারখানায় ৫ হাজারের বেশি শ্রমিক রয়েছে।
শ্রমিকরা বলছেন, বকেয়া বেতন প্রদানের আশ্বাস না পেলে এবং কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি আদায় না হলে তারা মহাসড়ক ছেড়ে যাবেন না।
সড়ক অবরোধ করায় ওই রুট ব্যবহারকারী যাত্রী ও চালকেরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। ব্যাটারি রিকশায় করে যাতায়াত করছেন তারা। উত্তরবঙ্গের যানবাহন বিকল্প হিসেবে গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও ধামরাই-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহার করে ঢাকার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে ওই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে নামেন বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকেরা। শুক্রবার বিরতি দিয়ে শনিবার থেকে আজ পর্যন্ত লাগাতার সড়ক অবরোধ করছেন তারা।
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, 'গতকাল রাত এগারোটার পর সড়ক ছেড়ে দিলেও দাবি পূরণ না হওয়ায় আজ সকালে আবার শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেছেন। ফলে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। আমরা শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি।'