প্রায় ৩৩ ঘণ্টা পর নবীনগর-চন্দ্রা সড়কের অবরোধ প্রত্যাহার আন্দোলনরত শ্রমিকদের
টানা ৩৩ ঘণ্টা অবরোধ শেষে নবীনগর-চন্দ্রা সড়ক থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন, বন্ধ হয়ে যাওয়া লেনী ফ্যাশন ও লেনী অ্যাপারেলসের আন্দোলনরত শ্রমিকরা। দীর্ঘ আলোচনার পর সমস্যা সমাধানে সমঝোতায় পৌঁছানোর পর সড়ক ছেড়ে যান তারা।
আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) এক ক্ষুদে বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম।
তিনি জানিয়েছেন, "দীর্ঘ আলোচনা শেষে দুই পক্ষ সমঝোতায় পৌছেছে। অবরোধ প্রত্যাহার হয়েছে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে"।
এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে, ২০২১ সালে আর্থিক সংকটের মুখে বন্ধ হয়ে যাওয়া ডিইপিজেডের প্রতিষ্ঠান লেনী ফ্যাশন ও লেনী অ্যাপারেলসের শ্রমিকরা সড়কটি অবরোধ করে বকেয়া পাওনার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ডিইপিজেড কর্তৃপক্ষ এবং আন্দোলনরত শ্রমিকদের যৌথ বৈঠকে আগামী ৩ মাসের মধ্যে শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধের আশ্বাস দেওয়ার পর আজ বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
বেপজার নির্বাহী পরিচালক (জনসংযোগ) আনোয়ার পারভেজ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড'কে বলেন, আমি যতদুর জানতে পেরেছি আলোচনায় শ্রমিকদের কাছ থেকে ৩ মাসের মত একটি সময় নেওয়া হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে অকশনের মাধ্যমে কারখানা বিক্রি করে সকল শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করা হবে। এছাড়াও আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে শ্রমিকদের তাদের কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে, কারণ এই কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করাটাও সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। কাজেই এর মধ্যে যেন এ কাজটুকুও এগিয়ে রাখা যায় এবং কারখানা বিক্রি হওয়ার সাথেসাথেই তাদের পাওনাদি পরিশোধ করে দেওয়া যায়।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ২০২১ সালে আর্থিক সংকটের মুখে বন্ধ হয়ে যাওয়া ডিইপিজেড এর প্রতিষ্ঠান লেনী ফ্যাশন ও লেনী অ্যাপারেলসের শ্রমিকরা সড়কটি অবরোধ করে বকেয়া পাওনার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে।
পরবর্তীতে আজ বুধবার সকাল থেকে আন্দোলনরত শ্রমিকরা অবরোধের পাশাপাশি পুরাতন ডিইপিজেডের ভিতরে প্রবেশও বন্ধ করে দেয়।
ফলশ্রুতিতে আজ ডিইপিজেড এর পুরাতন অংশে অবস্থিত সকল শিল্প ইউনিটের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
ডিইপিজেড এর গেইটে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা জানান, সকালে ডিইপিজেড এর বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে আসলেও আন্দোলনরতরা তাদের ডিইপিজেড এর ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়নি। যার কারনে পরবর্তীতে অন্য কারখানার শ্রমিকরা গেইট থেকেই ফিরে যেতে বাধ্য হন।
যদিও স্বাভাবিক ছিল ডিইপিজেড এর নতুন অংশে অবস্থিত শিল্প ইউনিট সমূহের কার্যক্রম।