স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে বৈঠকের পর ইজতেমা মাঠ ছেড়ে যাওয়ার ঘোষণা সাদপন্থিদের
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে বৈঠকের পর ইজতেমা মাঠ ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মাওলানা সাদের অনুসারীরা।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে টঙ্গীতে ইজতেমা ময়দানে আহত ও নিহতের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সব পক্ষের সাথে জরুরি বৈঠকে বসেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বৈঠক শেষে মাওলানা সাদের অনুসারী রেজা আরিফ সাংবাদিকদের জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে তারা ইজতেমা মাঠ ছেড়ে যাবেন।
রেজা আরিফ বলেন, 'আমরা অন্য পক্ষকেও (জুবায়েরপন্থি) শান্তিপূর্ণভাবে মাঠ ছেড়ে যাওয়ার অনুরোধ করব। কেউ যাতে কোনো ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য না দেয়, মুসলমান-মুসলমান মারামারি এটা একেবারেই ঠিক হয়নি। আমরা মাঠ ছেড়ে যাচ্ছি, এখন থেকে সরকার মাঠের নিযন্ত্রণ নেবে'।
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা শুরুর আগেই ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে বিবাদমান দুই দলের মধ্যে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোররাত ৩টায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।
আহত ৪০ জনকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে সাতজনকে ভর্তি রাখা হয়েছে।
টঙ্গীতে সংঘর্ষের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। জুবায়েরপন্থিদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে সাদপন্থিদের বিরুদ্ধে।
সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আহতরা জানান, তারা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসলে আবারও হামলা চালানো হয়। পুলিশ হামলাকারীদের নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও সফল হয়নি। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাকরাইল মসজিদ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ ও র্যাব ।
এদিকে, জুবায়ের অনুসারীদের মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান দাবি করেন, তাদের পক্ষের দুইজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া, ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিছুক্ষণ আগে আরও একজন মারা গেছেন। তার নাম-পরিচয় বিস্তারিত পরে জানানো হবে উল্লেখ করেন তিনি।
যদিও, পুলিশ কেবল দুইজন নিহত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে।