আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর ঘটনায় সাবেক এমপিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
আশুলিয়ায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গুলি করে হত্যার পর লাশ পোড়ানোর ঘটনায় ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলাম ও চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। প্রসিকিউশনের আবেদনের শুনানি শেষে এই আদেশ দেওয়া হয়।
চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম জানান, অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে এবং আগামী ২৬ জানুয়ারি তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় নিহত সবুরের ভাই এবং সজলের মায়ের আইনজীবী হুজ্জাতুল ইসলাম খান ১১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগে বলা হয়, 'গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবার পর আনুমানিক বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার সকল পুলিশ সদস্য এবং ঢাকা ডিবি উত্তরের সদস্যরা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট আসামিদের আদেশে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতাকে সমূলে বা আংশিক নির্মূল করার হীন উদ্দেশ্যে বিজয় উল্লাসরত ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে আস-সাবুর, আবদুল মান্নান, মিজানুর রহমান, তানজিল মাহমুদ সুজয়, সাজ্জাদ হোসেন সজল ও বায়েজিদকে হত্যা করে এবং আশুলিয়া থানার সামনেই পুলিশ ভ্যানে নিহতদের লাশ পুড়িয়ে দেয়।'
অপরাধের ধরনে বলা হয়, 'প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট আসামিদের নির্দেশে ও পরিকল্পনায় অন্যান্য আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে এবং তাদের লাশ আগুনে পুড়িয়ে ফেলে তাদের সমূলে বা আংশিক নির্মূল করার উদ্দেশ্যে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করে।'