‘ওহ কানাডা’: কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ দেখিয়ে নতুন মানচিত্রের ছবি পোস্ট করলেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি নতুন মানচিত্র শেয়ার করেছেন, যেখানে কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। কানাডাকে 'আর্থিক শক্তি' ব্যবহার করে যুশোষণের হুমকি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই তিনি এই ছবিটি পোস্ট করেন। এর আগে, কানাডার কর্মকর্তারা তার এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে একটি মানচিত্র শেয়ার করেন, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডাকে একক দেশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। রাজ্য সীমানা মুছে ফেলা হয়েছে এবং নতুন এই সত্ত্বায় 'ইউনাইটেড স্টেটস' লেখা ছিল।
এরপর তিনি একটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে দুটি দেশের এলাকা মার্কিন পতাকার রঙে আঁকা হয়েছে এবং সঙ্গে লেখা ছিল, "ওহ কানাডা।"
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র "আর্থিক শক্তি" ব্যবহার করে তার প্রতিবেশী দেশ কানাডাকে শোষণ করতে পারে এবং তিনি কানাডার পণ্যগুলোর ওপর কড়া শুল্ক আরোপের হুমকি দেন।
তিনি বলেন, "আপনি ওই কৃত্রিমভাবে আঁকা সীমানাটা সরিয়ে দিলে দেখবেন কী হয়। এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও অনেক ভালো হবে।"
কানাডার বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, "কানাডা কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হবে না, এটা কখনোই সম্ভব নয়।"
দেশটির বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়ের পয়লিভরও একইভাবে বলেছেন, "কানাডা কখনো ৫১তম রাজ্য হবে না।"
ট্রাম্পের কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ করার প্রস্তাবের প্রত্যাখ্যান সত্ত্বেও, অটোয়ার রাজনীতিবিদরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখার গুরুত্বের কথা বলেছেন। কারণ কানাডা নির্বাচনী মৌসুমে প্রবেশ করছে।
৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্পের কানাডার বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে কখনোই ভালো সম্পর্ক ছিল না। ২০১৭-২০২১ সাল পর্যন্ত তার প্রথম মেয়াদে তিনি কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্য করার ধারণাটি উপস্থাপন করে এসেছেন। তিনি এই ধারণাটি প্রথমবার ট্রুডোর সঙ্গে মার-এ-লাগোতে ৫ নভেম্বর নির্বাচনী জয় পাওয়ার পর সাক্ষাতের সময় উত্থাপন করেন। এরপর থেকে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিকবার এই বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।
তিনি আগেই ট্রুথ সোশ্যাল-এ এ মন্তব্য করেছিলেন, "কানাডার অনেক মানুষ ৫১তম রাজ্য হতে ভালোবাসে। যুক্তরাষ্ট্র আর কানাডার বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি এবং ভর্তুকি সহ্য করতে পারবে না, যা কানাডাকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন। জাস্টিন ট্রুডো এটা জানতেন এবং পদত্যাগ করেছেন।"