জনগণের মান্ডেট নিয়ে পার্লামেন্টে আসুন, যা চাইছেন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে করুন: সংস্কার প্রসঙ্গে খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, যেকোনো ধরনের সংস্কারই এ দেশে হয়েছে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায়৷ এখন রাজনীতির বাইরে কেউ এসে বলবেন, তারা সবকিছু ঠিক করবে রাজনীতিবিদদের বাদ দিয়ে, সেটি হবে না৷ জনগণের ম্যান্ডেন্ট নিয়ে পার্লামেন্টে আসুন, তারপর আপনারা যা চাইছেন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে করুন৷
আজ শনিবার ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত 'ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় বাংলাদেশের স্বার্থ ও নিরাপত্তা' শীর্ষক জাতীয় সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক সংকট সমাধানে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দেন৷
তিনি বলেন, ভূ-রাজনৈতিক সংকট সমাধানে আমাদের এখন বাই-লেটারেল (দ্বিপাক্ষিক) থিওরি থেকে বেরিয়ে এসে মাল্টি-লেটারাল (বহুপাক্ষিক) প্রক্রিয়ায় যেতে হবে৷ বাই-লেটারাল প্রক্রিয়ায় গেলে সেখানে শক্তিশালী দেশের কর্তৃত্ব দেখানোর সুযোগ তৈরি হয়৷ এখন সার্কসহ আঞ্চলিক সংগঠনগুলোকে আরও সক্রিয় করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা যখন পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে কথা বলি, তখন শুধু শান্তি বাহিনীর কথা বলছি৷ কিন্তু ওদিকে আরও বড় বিপদ৷ সীমান্তের ওপারে প্রায় ৭০ কিলোমিটার এলাকা এখন আরাকান আর্মির দখলে৷ তারা বাংলাদেশ বিদ্বেষী, রোহিঙ্গাদের জন্যেও তারা আশীর্বাদস্বরূপ নয়৷ তারা নতুন করে ৫০-৬০ হাজার রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিচ্ছে টেকনাফের দিকে৷ আরাকান আর্মির পাশাপাশি ভারতও সীমান্ত এলাকায় জটিল পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছে৷
আমীর খসরু বলেন, এখন এ সীমান্ত এলাকা নিয়ে পলিসি রিভিউ করতে হবে৷ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে এমপাওয়ার করতে হবে৷ টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরির ব্যাটল ফিল্ডের জন্য তৈরি থাকতে হবে সেনাবাহিনীকে৷
বাংলাদেশের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিটি গোয়েন্দা সংস্থাকে এখন পুনর্গঠনের পাশাপাশি নতুন করে তাদের করণীয় নির্ধারণ করে দেওয়ার পরামর্শ দেন আমীর খসরু।
তিনি বলেন, এখন আমাদের একটি ন্যাশনাল সিকিউরিটি আর্কিটেকচার গড়ে তুলতে হবে৷ দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে সব রাজনৈতিক দলের একটা কনসাস গড়ে তুলতে হবে৷ সিকিউরিটি আর্কিটেকচার বলতে শুধু সীমান্ত প্রহড়া নয়; একইসঙ্গে আমাদের আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স, যোগাযোগ ব্যবস্থা, ফুড চেইন সবকিছুকে এখানে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে৷