মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি, পোষ্য কোটা বাতিলসহ ৯ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ
মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা, পোষ্য কোটা বাতিলসহ ৯ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা।
আজ রোববার (৫ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
অবস্থান কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, পোষ্য কোটা শিক্ষার্থীদের জন্য এক ধরনের বৈষম্য। তারা বলেন, পোষ্য কোটা চিরতরে বাতিল করতে হবে। এটি ভিক্ষাবৃত্তির মতো একটি ব্যবস্থা। অনেক শিক্ষার্থী রয়েছেন, যাদের বাবা নেই বা কোনো চাকরি নেই। অথচ যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করেন, তাদের সন্তানদের জন্য কোটা রয়েছে। এটি শিক্ষার্থীদের প্রতি অন্যায়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রশাসন তাদের দাবির বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিলেও তা রক্ষা করেনি।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, গত বৃহস্পতিবার প্রশাসন আমাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিল যে তারা দাবিগুলো বিবেচনায় নেবে। প্রশাসন আমাদের বলেছিলো এ বিষয়ে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তারা ভর্তি আবেদন শুরু করবে না। কিন্তু ইতোমধ্যে প্রশাসন আবেদন গ্রহণ শুরু করেছে।
শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি ২০০ টাকা নির্ধারণ, মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা, পোষ্য কোটাসহ সব ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্য বীমা চালু, বন্ধ হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের আর্থিক অবস্থা, বাড়ির দূরত্ব এবং মেধার ভিত্তিতে আসন বরাদ্দ এবং অতিদ্রুত নতুন দুটি হল নির্মাণ।
এছাড়াও অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে—ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল এক্সট্রা কারিকুলার সংগঠনসমূহের জন্য অফিস বরাদ্দ, অনতিবিলম্বে টিএসসি নির্মাণ, অতি দ্রুত চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের আয়োজন, প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল প্রদান ও অনলাইনে রেজাল্ট প্রকাশসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড অনলাইনে সম্পন্ন করা এবং সম্প্রতি ঘটে যাওয়া গুপ্ত হামলার সুষ্ঠু বিচার ও ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।