'পিপিপি-তে বেসরকারি খাতের ভূমিকা দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে পারে’
সরকারি বেসরকারি অংশিদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে বেসরকারি খাত এগিয়ে আসলে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার গতি বাড়বে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) হোটেল সোনরগাঁওয়ে পিপিপি কর্তৃপক্ষ আয়োজিত 'ইনঅগ্যুরাল সেরেমনি অব কমপ্রিহেনসিভ ট্রেনিং সার্ভিস অন পিপিপি' শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তারা এ সব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, "সরকার একটি অত্যন্ত শক্তিশালী সত্ত্বা। সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতের অংশীদারিত্বে উন্নয়ন কাজ সহজে এগিয়ে নেওয়া যেতে পারে।"
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি আরও বলেন, "সরকারের অংশীদারিত্বের কারণে উন্নয়ন কাজের প্রতিবন্ধকতা সহজেই দূর করা যায়। এতে বেসরকারি খাতের দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।"
তিনি বলেন, বেসরকারি খাতে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে এগিয়ে আসলে পূঁজি ও প্রযুক্তির অভাব দূর হবে।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখার সময় ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, বাংলাদেশের অগ্রগতি এখন সবার জন্য অনুপ্রেরণা।
তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশের সাফল্য ভারতের জাতীয় স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আর ভারতের সাফল্য বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।"
ফলে, দুই দেশের মধ্যে অংশীদারিত্বের বৈচিত্র্য উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় আরও পুঁজি ও প্রযুক্তিকে একত্রিত করতে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে, বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে গার্মেন্ট-টু-গার্মেন্ট (জি-টু-জি) খাতে ভারতের বিনিয়োগ রয়েছে।
পিপিপির ভিত্তিতে দুই দেশের মধ্যে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। পিপিপি মডেল হতে পারে উন্নয়নের চাবিকাঠি। ভারতীয় ও বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা একসঙ্গে কাজ করলে পুঁজির সরবরাহ বাড়বে এবং এইভাবে বিনিয়োগ হবে প্রযুক্তি নির্ভর হবে, যোগ করেন বিক্রম দোরাইস্বামী।
পিপিপির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা আফরোজ এসময় পিপিপি কর্তৃপক্ষের অর্জন এবং কীভাবে পিপিপি সরকারি ও বেসরকারি খাতের দক্ষতা ও সম্পদ একত্রিত করতে পারে তা তুলে ধরেন।
বক্তারা উল্লেখ করেন, দেশের উন্নয়নে বেসরকারি খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং সরকার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির পথে বাধা দূর করতে কাজ করছে।
বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ৭৯টি পিপিপি প্রকল্পে ২৯ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে একটি অপারেশন পর্যায়ে রয়েছে এবং অন্য ছয়টি কনস্ট্রিকশন পর্যায়ে রয়েছে।
১০টি প্রকল্পের জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে এবং অন্য দুটির চুক্তি সাক্ষরিত হতে যাচ্ছে।
১৩টি প্রকল্প সংগ্রহের পর্যায়ে রয়েছে এবং ২৭টি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চলছে।