দেশের প্রতি ওয়ার্ডে টিকা দেওয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশের সব ওয়ার্ডে করোনা টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, 'আমরা ইতোমধ্যেই ৩১ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন জোগানের ব্যাবস্থা করেছি। এই ভ্যাকসিন থেকে প্রতি মাসেই প্রয়োজনীয় পরিমাণে ভ্যাকসিন আমাদের হাতে চলে আসছে। এর মধ্যেই ৭ কোটি প্রথম ডোজ, ৫ কোটি ডাবল ডোজসহ মোট ১২ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য পূরণ করতে বুস্টার ডোজসহ মোট ২৮ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োজন হবে। সেক্ষেত্রে সরকারের ৩১ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন হাতে পাওয়ার সংস্থান করা গেছে। কাজেই বুস্টার ডোজসহ আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ২৮ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন লাগলেও আমাদের হাতে আরো ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন হাতেই থাকবে। আর ইতোমধ্যে আমরা স্কুল পর্যায়ে সহ বস্তিতে গিয়েও ভ্যাক্সিন দিয়েছি।'
আজ দুপুরে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লি. (ইডিসিএল)-এর বার্ষিক সাধারণ সভা ও বোর্ড সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, জানুয়ারি থেকে প্রতি মাসে অন্তত ৪ কোটি ডোজ টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হবে। এ উদ্দেশ্যে আগামী মাস থেকেই দেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে টিকা দেওয়া উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে আগামী মে-জুনের মধ্যেই টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন জাহিদ মালেক।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় বিশ্বের প্রশংসা পেয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ প্রথম অবস্থানে আছে এবং ব্লুমবার্গের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
আগামীতে ওমিক্রনে করোনা পরিস্থিতিতে আবারও চাপ বাড়তে পারে বলে মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তেমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে শুধু টিকায় ওমিক্রণ ঠেকানো সম্ভব হবে না বলে জানান তিনি। এ পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর জোর দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এছাড়াও ওমিক্রন মোকাবিলায় সবাইকে মাস্ক পরারও আহ্বান জানান জাহিদ মালেক।