অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে ২০ কোটি টাকা হাতিয়েছে চক্রটি
অনলাইনে জুয়ার (বেটিং) মাধ্যমে প্রায় ২০ কোটি টাকা হাতিয়েছে এক চক্রের বাংলাদেশের দুই মাস্টার এজেন্টসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো মোঃ তরিকুল ইসলাম ওরফে বাবু, রানা হামিদ ও মোঃ সুমন মিয়া। তাদেরকে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ৩ দিনের পুলিশ রিমান্ডে নিয়েছে ডিবি।
বুধবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের ব্যাংক একাউন্ট এবং মোবাইল ব্যাংক একাউন্টগুলোতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে অনলাইনে জুয়া (বেটিং) খেলার সাইট থেকে অর্জিত অর্থ দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে জমি, সম্পদ অর্জন করেছে। তারা মূলত মোবাইল ব্যাংকিং ও ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে অবৈধ অর্থের লেনদেন (ই-ট্রানজেকশন) করে থাকে।
তারা মাজাপবু ডট কম (mazapbu.com) ও বেটবাজ৩৬৫ লাইভ (betbuzz365 live) এ দুইটি বেটিং ওয়েবসাইটের বাংলাদেশের মাস্টার এজেন্ট। তারা সাইটগুলোর মাস্টার এজেন্ট হিসেবে দেশের বাইরে থাকা সুপার এজেন্টের থেকে প্রতিটি পিবিইউ (নিজস্ব ভার্চুয়াল কারেন্সি) ৬০ টাকার বিনিময়ে কিনে থাকে। পরবর্তী সময়ে লোকাল এজেন্টের থেকে প্রতিটি পিবিইউ ১০০ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে থাকে।
গ্রেপ্তারকৃতরা ৮ থেকে ১০ লাখ টাকায় লোকাল এজেন্ট নিয়োগ দিয়ে থাকে। ওই লোকাল এজেন্টে বেটিংয়ে অংশগ্রহণকারীদের থেকে নগদ অর্থের বিনিময়ে প্রতিটি পিবিইউ ১৫০ টাকায় বিক্রি করে। এই কাজে মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টের মাধ্যমে অবৈধ অর্থের আদান-প্রদান করা হয়।
এভাবে সাধারণ ব্যবহারকারীদের অর্থ গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের মাধ্যমে দেশের বাইরে চলে যায়। এরা ভুয়া ফেসবুক আইডি ও বিদেশি নাম্বারের মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপ খুলে বেটিং সাইটগুলো পরিচালনা করে ও গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করে থাকে।
এক প্রশ্নোত্তরে তিনি বলেন, রাশিয়া, মালয়েশিয়া ও ভারত থেকে এ সাইটগুলোর ডোমেইন ব্যবহৃত হয়। বিটিআরসি অনেক সাইট বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু কেউ কেউ প্রক্সি সার্ভার ব্যবহার করে এগুলো পরিচালনা করছেন। আমাদের পুলিশের মনিটরিং বাড়ানো হয়েছে।