ধারণার চেয়ে বেশি মানুষ ভ্যাকসিন নিতে এসেছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
কর্তৃপক্ষের ধারণার চেয়েও বেশি মানুষ গণ টিকাদান কার্যক্রমে টিকা নিতে এসেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক।
জাহিদ মালেক বলেন, "সারাদেশে এক কোটি টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছি। শান্তিপূর্ণভাবে টিকাদান চলছে। বিপুল সংখ্যক মানুষ টিকাকেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছে। আমাদের ধারণার বাইরে বেশি লোক টিকা নিতে এসেছে। আমরা এক কোটি টিকা দেওয়ার টার্গেট নিয়েছিলাম, তবে আমাদের ধারণা এক কোটি ছাড়িয়ে যাবে।"
শনিবার বিকেলে কোভিড-১৯ গণ টিকাদান পরবর্তী করণীয় বিষয়ক ভার্চুয়াল মিটিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও দুইদিন প্রথম ডোজ টিকাদান চলবে উল্লেখ করেন তিনি।
"পর্যাপ্ত টিকা মজুদ আছে। টিকার কোন কমতি নেই। ফার্স্ট, সেকেন্ড ও বুস্টার ডোজ বজায় থাকবে," বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, টিকা দেওয়ার সংখ্যার দিকে বাংলাদেশ পৃথিবীর দুইশোটি দেশের মধ্যে ১০ নম্বরে রয়েছে।
"টিকাদানে আমাদের পিছনে রাশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানির মত বড় বড় দেশ রয়েছে। এ পর্যন্ত ১১ কোটি প্রথম ডোজ দিয়েছি। আজ এক কোটি দেওয়া হলে ১২ কোটি প্রথম ডোজ দেয়া হবে," যোগ করেন তিনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়ার নির্দেশনা ছাড়িয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
"এছাড়া আমাদের দেশের টার্গেটেড পপুলেশনের ৯৫% বেশি মানুষকে টিকা দেয়া হবে।"
এর আগে, আজকের মধ্যে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া সম্পন্নের লক্ষ্য হাতে নেয় সরকার।
তবে, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রথম ডোজ দেওয়া সময়সীমা বাড়িয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
একদিনে এক কোটি মানুষকে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়ার লক্ষ্যে আজ শনিবার সকালে সারাদেশে দিনব্যাপী গণ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।
সিটি করপোরেশন থেকে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের পাশাপাশি সারাদেশে মোট ৩০ হাজার টিকাদান বুথ স্থাপন করা হয়েছে। প্রায় এক লাখ ৪৫ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী এসব বুথ ও কেন্দ্রে কাজ করছেন।