ডিভোর্সের টাকা নিয়ে মিথ্যা বলায় শাস্তি পেতে পারেন অ্যাম্বার হার্ড
প্রাক্তন স্বামী জনি ডেপের সাথে আইনি লড়াইয়ের মধ্যেই আরেক দুঃসংবাদ পেলেন মার্কিন অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ড। জনি ডেপের কাছ থেকে পাওয়া ডিভোর্স সেটলমেন্টের টাকা নিয়ে মিথ্যা বলায় পুলিশি তদন্তের সম্মুখীন হতে পারেন তিনি।
ডেপের সাথে বিচ্ছেদের পর পাওয়া টাকা থেকে ৩.৫ মিলিয়ন ডলার দান করে দিয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন অ্যাম্বার হার্ড। কিন্তু সাম্প্রতিক আইনি লড়াইয়ে উচ্চ আদালতে তিনি স্বীকার করেছেন যে, সেই টাকা তিনি আসলে দান করেননি। ফলে ইচ্ছাকৃতভাবে আদালতে মিথ্যা বলার অপরাধে দণ্ডিত হয়েছেন হার্ড।
২০১৬ সালে বিচ্ছেদের পর হার্ড জানিয়েছিলেন, বিচ্ছেদের ফলে পাওয়া ৭ মিলিয়ন ডলার তিনি লস অ্যাঞ্জেলসের চিলড্রেনস হসপিটাল এবং আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়নকে ভাগ করে দিবেন।
কিন্তু গেল সোমবার হার্ড তার স্বীকারোক্তিতে বলেন, তিনি এখনো সম্পূর্ণ টাকা দান করেননি। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ডেপ তাকে ২০১৯ সালের মার্চে ৫০ মিলিয়ন ডলারের মামলায় ফাঁসিয়েছেন।
কিন্তু আগেপরে একাধিকবার যুক্তরাজ্যের আদালতে হার্ড বলেছেন যে তিনি সত্যি সত্যিই ডিভোর্স সেটলমেন্টের টাকা দান করে দিয়েছেন।
এদিকে ডেপের আইনজীবি ক্যামিলা ভাস্কেজও গতকাল দাবি করেন, জনি ডেপ হার্ডের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার বেশ কয়েকমাস আগে থেকেই হার্ডের কাছে সেই টাকা জমা ছিল। বরং তিনি ইচ্ছা করেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী টাকা দান করেননি।
এর ফলে প্রমাণিত হয় যে, আদালতে শপথ নেওয়া সত্বেও মিথ্যা বলেছেন অ্যাম্বার হার্ড। সেই সাথে বিভিন্ন টকশোতে দানের ব্যাপারে মিথ্যা বলে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করেছেন।
যদিও দানের ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃত মিথ্যা বলা কোনো কেন্দ্রীয় বিষয় নয়। কিন্তু এই মিথ্যা বলাই আইনের প্রতি হুমকিস্বরূপ বলে মনে করা হয়। তাই যেকোনো মুহূর্তেই পুলিশি তদন্ত ও শাস্তির সম্মুখীন হতে পারেন এই অভিনেত্রী।
তবে 'ইচ্ছাকৃত মিথ্যা'র ক্ষেত্রে শাস্তির আওতায় আনা বেশ কঠিন। কারণ এখানে শক্তভাবে প্রমাণ দিতে হবে যে, অপরাধী সম্পূর্ণ সজ্ঞানে মিথ্যা বলেছেন।
সূত্র: মার্কা