১২ ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের সোনার সন্ধান পেল উগান্ডা
উগান্ডা ঘোষণা দিয়েছে, কয়েকটি সমীক্ষা চালানোর পরে দেশটিতে ৩১ মিলিয়ন মেট্রিক টন সোনার সন্ধান পাওয়া গেছে। উগান্ডার জ্বালানি ও খনিজ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সলোমন মুয়িতা বলেছেন, এই রিপোর্টগুলোর উদ্দেশ্য ক্রিপ্টো খাতে সোনার খনির মালিক ও বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা।
দেশের অর্থনীতিকে চাঙা করবার জন্য উগান্ডা সরকার বুসিয়া জেলায় সোনার পণ্য উৎপাদন শুরু করতে চীনা প্রতিষ্ঠান ওয়াগাগাই গোল্ড মাইনিং কোম্পানিকে লাইসেন্স দিয়েছে। কোম্পানিটি ২০১৬ সালে বুসিয়া জেলায় পর্যায়ক্রমে ২০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের স্বর্ণ শোধনাগার নির্মাণের কাজ শুরু করে।
নাসডাকের প্রতিবেদন অনুসারে, মুয়িতা বলেছেন, আবিষ্কৃত সোনা এই মুহূর্তেই খনন শুরু করা সম্ভব।
স্থানীয়ভাবে স্বর্ণ পরিশোধন উগান্ডার ওই অঞ্চলে কর্মসংস্থান বাড়াতে পারে। পাশাপাশি সোনার খনির আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের সামাজিক সেবা প্রদানের মানও বাড়াতে পারে।
উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইয়োওয়েরি মুসেভেনি কোনো স্থানীয়ভাবে সোনা পরিশোধনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিদেশি কোনো শোধনাগারকে দিয়ে স্বর্ণ পরিশোধন করা হলে তা অপরাধ হবে।
ওয়াগাগাই গোল্ড মাইনিং কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার তান চুন চি বলেছেন, তাদের বিনিয়োগ ৬০ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। দুটি লাইসেন্স না থাকার কারণে তারা নির্মাণকাজে পিছিয়ে পড়েছেন বলে জানান তিনি।
কোম্পানিটি সম্প্রতি চলতি বছরের মার্চে একটি স্বর্ণ উৎপাদনের লাইসেন্স পেয়েছে। এছাড়া উগান্ডায় স্বর্ণ উত্তোলনের জন্য ২১ বছরের ইজারা পেয়েছে প্রতিস্থান্তি। ২০২৩ সালের জুলাই নাগাদ তারা স্বর্ণ উৎপাদন শুরু করবে বলে আশা করছে।
একটি পরিশোধনাগার নির্মাণের জন্য ওয়াগাগাই গোল্ড মাইনিং কোম্পানি ২০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
উগান্ডায় বিপুল পরিমাণ সোনা আবিষ্কৃত হওয়া সত্ত্বেও দেশটিতে স্বর্ণ উত্তোলনে অনেক রকমের অসুবিধা রয়েছে। এর ফলে স্বর্ণ উত্তোলনের পরিমাণ প্রভাবিত হয়। প্রতি বছর দেশটিতে প্রায় ২,৫০০ থেকে ৩,০০০ মেট্রিক টন সোনা উত্তোলন করা হয়।