আরব শীর্ষ সম্মেলনে তেল চুক্তিতে ব্যর্থ বাইডেন, ফিরলেন ‘শূন্য হাতে’
চারদিনের মধ্যপ্রাচ্য সফরে গিয়ে তেল উত্তোলন বাড়াতে সৌদির সঙ্গে চুক্তির পরিকল্পনায় ব্যর্থ হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে মধ্যপ্রাচ্যের সক্রিয় সহযোগী হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাজ করে যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। শনিবার আরব সম্মেলনে সৌদি আরবে আরব নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসরাইল ও ফিলিস্তিন সফর শেষে শুক্রবার (১৫ জুলাই) সৌদি আরব যান তিনি। পরদিন শনিবার (১৬ জুলাই) আরব নেতাদের সঙ্গে তিনি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন।
তবে ইসরায়েলকে নিয়ে আঞ্চলিক নিরাপত্তা অক্ষের পরিকল্পনায় অগ্রসর হতে পারেননি বাইডেন। একইসঙ্গে দ্রুততম সময়ে তেল উৎপাদন বৃদ্ধিতেও আশানরূপ কোনো অগ্রগতি হয়নি।
বাইডেন তেল উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়ে সৌদির সঙ্গে একটি চুক্তিতে আসতে চেয়েছিলেন। গ্যাসোলিনের দাম নিয়ন্ত্রণে আনার মাধ্যমে ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি ঠেকানোর পাশাপাশি নিজের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থান সামাল দিতে চেয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
কিন্তু এ বিষয়ে তেমন কোনো ইতিবাচক সাড়া তিনি পাননি। সৌদি আরব জানিয়েছে তারা সাধ্যমতোই তেল উত্তোলন করছে।
আরব শীর্ষ সম্মেলনে গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) ছয় দেশ সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন, কুয়েত, ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতাদের পাশাপাশি জর্ডান, মিসর ও ইরাকের নেতারাও অংশ নেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অপরিশোধিত তেলের উচ্চমূল্য ও রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জটিলতায় বাইডেন ওপেক জায়ান্ট সৌদি আরবকে পাশে চায়। একইসঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও চীনের বৈশ্বিক প্রভাব রোধ করাও বাইডেনের উদ্দেশ্য। আর সেই উদ্দেশ্যেই তিনি এই সম্মেলনে যোগ দেন।
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে এখন তেলের সংকট ও দাম দুটোই ঊর্ধ্বমুখী। আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচন। এই অবস্থায় জ্বালানির দামে লাগাম টানতে ব্যর্থ হলে বাইডেন চাপে পড়বে।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাইডেনকে শূন্য হাতেই ফিরতে হয়েছে। তবে সৌদি আরব, রাশিয়া ও অন্যান্য তেল উৎপাদনকারী দেশের সমন্বয়ে গঠিত জোট ওপেক প্লাস আগামী ৩ আগস্টের বৈঠকে তেল উৎপাদন বৃদ্ধিতে একটি লক্ষ্যে পৌঁছাবে বলে এখনও আশার আলো দেখছেন বাইডেন।
"আগামী মাসগুলোতে কী ঘটবে তা দেখার অপেক্ষায় আছি," বলেন বাইডেন।
- সূত্র: রয়টার্স ও বিবিসি