পাখি এখন মুক্ত: টুইটার কিনে নেওয়ার পর ইলন মাস্কের প্রথম টুইট!
বেশ লম্বা সময় ধরে নানা বিতর্কের পর অবশেষে টুইটার কিনেই নিলেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক। প্রযুক্তি দুনিয়ার সবচেয়ে বড় একটি চুক্তির মধ্য দিয়ে টুইটারের মালিকানা নিজের হাতে নিয়েছেন স্পেসএক্স এর প্রতিষ্ঠাতা। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) টুইটার অধিগ্রহণের খবর নিশ্চিত করার পর প্রথম যে টুইট করেছেন মাস্ক, তা হলো- 'পাখি এখন মুক্ত'।
টুইটার কর্তৃপক্ষের সাথে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর নিজের জয় নিশ্চিত করেছেন টেসলার সিইও। নিউইয়র্ক টাইমসের খবর অনুযায়ী, টুইটার অধিগ্রহণের পরপরই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটির সিইও পরাগ আগারওয়ালসহ শীর্ষ চার কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করেছেন ইলন মাস্ক।
ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, চাকরিচ্যুত তিনজন হলেন টুইটারের চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার নেড সেগাল, সিএফও এবং আইন বিভাগের প্রধান বিজয়া গাড্ডে ও জেনারেল কাউন্সেল শন এজেট।
মাস্ক জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটিতে 'বাক-স্বাধীনতাকে' সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিতে তিনি টুইটারের কন্টেন্ট বিষয়ক নীতিগুলো পুনর্বিবেচনা করবেন। বিশ্বের শীর্ষ বিলিয়নিয়ার আরও বলেন, বারবার টুইটারের নিয়মকানুন ভঙ্গ করলে কোনো ব্যবহারকারীকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের সাথেও তিনি একমত নন, কারণ এর ফলে বিতর্কিত টুইটার ব্যবহারকারীরা আবারও অন্য উপায়ে এই প্ল্যাটফর্মটিতে প্রবেশ করতে পারে।
তবে একই যুক্তি বিবেচনায় ইলন মাস্ক সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আবারও টুইটারে ফিরে আসতে দেন কিনা, সেদিকেই নজর অনেকের; যেহেতু মাস্ক এর আগে এমন উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। আর তাই যদি হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন মধ্যবর্তী নির্বাচন ও ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্সিয়াল ক্যাম্পেইনে তা বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এপ্রিলে ৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার কেনার ঘোষণা দিয়েছিলেন ইলন মাস্ক। কিন্তু ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার ক্ষেত্রে টুইটার যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে না দাবি করে সেই চুক্তি থেকে সরে আসেন মাস্ক। তারপরেই হু-হু করে টুইটারের শেয়ারের দরপতন হতে থাকে। তারপর শুরু হয় আইনি লড়াই। শেষ পর্যন্ত মাস্ক টুইটার কিনতে পারবেন কিনা তা নিয়েও সংশয় দেখা দেয়। তবে টুইইটার অধিগ্রহণের মাধ্যমে শেষ হাসি হেসেছেন ইলন মাস্কই!