দুর্যোগে ত্রাণ সরবরাহের জন্য খাবারের তৈরি ভোজ্য ড্রোন
চালকবিহীন যান (ড্রোন) কেবল যুদ্ধ কিংবা ছবি তোলা নয়, দুঃসময়ের বন্ধু হিসেবেও কাজ করতে পারে। দুর্যোগকালে খাবার ও পানি সরবরাহে কিংবা দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে উদ্ধারকাজে মানুষের পরিবর্তে ড্রোনের ব্যবহার আরও নিরাপদ।
তাই প্রয়োজনের তাগিদে তৈরি হচ্ছে নানা ধরণের ড্রোন। কিন্তু বেশিরভাগ সরবরাহকারী ড্রোন তাদের নিজস্ব ওজনের কেবল ৩০ শতাংশ ওজনের সরঞ্জাম বহন করতে পারে। তাই সম্প্রতি একদল সুইস বিজ্ঞানী তৈরি করলেন খাবারের তৈরি ড্রোন যা খাওয়ার যোগ্য। খবর গাগ্যাজেট ডট কম-এর।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক সুইস ফেডেরাল ইন্সটিটিউট অভ টেকনোলজি লোজান (ইপিএফএল)-এর একদল গবেষক ইন্টেলিজেন্ট রোবটস অ্যান্ড সিস্টেমস শীর্ষক আইইই/আরএসজে আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে ড্রোনটির প্রোটোটাইপের উত্থাপন করেন।
এই ড্রোন তৈরির লক্ষ্য হলো সমস্যায় জর্জরিত মানুষদের খাবার সরবরাহ করা। আংশিকভাবে খাবার দিয়ে তৈরি এ যানটি বাঁচাতে পারবে উদ্ধারের আশায় থাকা দুর্যোগ কবলিত মানুষের জীবন।
ড্রোনের প্রোটটাইপটির আছে ভাতের ওয়েফার দিয়ে তৈরি ভোজ্য পাখা যা একজন মানুষের সকালের নাস্তার চাহিদা মেটাতে পারবে। এ পাখাগুলো মৌচাক আকৃতি অনুযায়ী কেটে জোড়া লাগানো হয় জেলাটিন দিয়ে। পানির সংস্পর্শে এসে যেন নষ্ট না হয় সেজন্য মোড়ানো হয়েছে ফয়েল পেপারে।
তবে ড্রোনটি তৈরির যাত্রা এখানেই শেষ নয়। বিজ্ঞানীরা এটি উন্নত করার চেষ্টায় আছেন। এর বর্তমান ভার্শনটি আয়তনের ৫০ শতাংশ খাবার দিয়ে তৈরি হলেও এ পরিমাণ বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছেন তারা।
এই প্রোটোটাইপটি ঘণ্টায় ৩৬ কিলোমিটার (১০ মাইল) পর্যন্ত যেতে পারে। এটিকে আরও কার্যকর করতে ভবিষ্যতে বিজ্ঞানীরা এতে আরও ক্যালরি যোগ করতে চান। এছাড়াও তাদের এর সাথে একটি কন্টেইনার যুক্ত করতে চান যাতে পানি সরবরাহ করা যায়।