ইংল্যান্ডের বিমানবন্দরে ১০০ মিলি তরল বহনের নিয়ম বাতিল হচ্ছে
যুক্তরাজ্য সরকার নিরাপত্তার বিষয়টিকে সামনে রেখে এতদিন হ্যান্ড লাগেজে তরল পদার্থ ও ইলেকট্রনিক ডিভাইস পরিবহনে কড়াকড়ি আরোপ করেছিল। কিন্তু দেশটির সরকার ২০২৪ সালের মধ্যে বিমানবন্দরগুলোতে থ্রিডি স্ক্যানার স্থাপনের মাধ্যমে হ্যান্ড লাগেজে তরল পদার্থ ও ইলেকট্রনিক ডিভাইস পরিবহনে কড়াকড়ি শিথিল করতে যাচ্ছে।
২০০৬ সাল থেকে বিদ্যমান নিয়ম অনুযায়ী যুক্তরাজ্যের একজন যাত্রী নিজের হ্যান্ড লাগেজে সানস্ক্রিন, শ্যাম্পু ও টুথপেস্টের মতো তরল পদার্থ ১০০ মিলিলিটারের বেশি বহন করতে পারেন না। একইসাথে যাত্রীকে তরল পদার্থগুলো অবশ্যই স্বচ্ছ প্লাস্টিক ব্যাগের মধ্যে নিতে হয়। কিন্তু বিমানবন্দরগুলোতে থ্রিডি স্ক্যানার স্থাপন করা হলে যাত্রীরা প্রায় ২ লিটারের মতো তরল পদার্থ পরিবহণ করতে পারবে।
এছাড়াও বর্তমানে যাত্রীদের কাছে থাকা ট্যাব, ল্যাপটপ ও তরল পদার্থগুলো নিরাপত্তার স্বার্থে সিকিউরিটি চেক পয়েন্টে বের করে তল্লাশি করা হয়। কিন্তু থ্রিডি স্ক্যানার স্থাপনের পর পণ্যগুলো চেক করার জন্য ব্যাগ থেকে বের করতে হবে না। বরং অত্যাধুনিক থ্রিডি স্ক্যানার বাইরে থেকেই পণ্যগুলো স্ক্যান করে এর নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনা করতে পারবে।
বিমানবন্দরে থ্রিডি এ স্ক্যানারগুলো স্থাপনের কাজ ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে মধ্যে শেষ করার লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে যুক্তরাজ্য সরকার। যুক্তরাজ্যের পরিবহণ সেক্রেটারি মার্ক হারপার জানান, বিমানবন্দরে থ্রিডি স্ক্যানার প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে একদিকে যেমন যাত্রীদের সময় বাঁচবে তেমনি অন্যদিকে নিরাপত্তা সম্পর্কিত সম্ভাব্য হুমকিগুলো নিরসন করা যাবে।
যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিমানবন্দরে যে থ্রিডি স্ক্যানারগুলো স্থাপণ করা হবে সেগুলো কাজ হবে অনেকটা হাসপাতালের সিটি স্ক্যান যন্ত্রের মতো। এই প্রযুক্তিটি যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টা ও শিকাগো বিমানবন্দরে কয়েক বছর আগে থেকেই শুরু করা হয়েছে। এ সম্পর্কে যুক্তরাজ্যের এয়ারপোর্ট অপারেশন এ্যাসোসিয়েশনের পলিসি ডিরেক্টর ক্রিস্টোফার স্লেনিং বলেন, "বিমানবন্দরে থ্রিডি প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের দেশের বিমান যাত্রায় এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হবে। এর ফলে যাত্রীদের বিমান যাত্রা আরও সহজ ও আনন্দদায়ক হবে।"
এখানে উল্লেখ্য যে, যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ২০২২ সালের মধ্যেই স্ক্যানার স্থাপনের কার্যক্রম শেষ করার কথা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে বলেছিল। কিন্তু তখন করোনা মহামারীর কারনে বিমানবন্দরে যাত্রী সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে যায় এবং স্ক্যানারগুলো স্থাপনের কার্যক্রমও পিছিয়ে পড়ে।
সূত্র: বিবিসি