ভিডিও মেসেজিং ফিচার চালু করল হোয়াটসঅ্যাপ
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেই এখন থেকে ভিডিও রেকর্ড করা এবং ঐ ভিডিও সরাসরি মেসেজ আকারে অন্য ব্যবহারকারীর কাছে পাঠানো যাবে। গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) মেটার মালিকানাধীন ম্যাসেজিং প্ল্যাটফর্মটি 'ভিডিও মেসেজিং' নামের নতুন এ ফিচারটি চালুর ঘোষণা দিয়েছে।
চালু হওয়া নতুন এ ফিচারটিতে ভিডিও মেসেজের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য হতে পারবে ৬০ সেকেন্ড। একইসাথে প্ল্যাটফর্মটির সাধারণ মেসেজিং ফিচারের মতোই এ ফিচারটিতেও 'এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন' বজায় রাখা হবে।
এতদিন হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও ফাইল অ্যাটাচ করে পাঠাতে হতো। ব্যক্তিগত কোনও মেসেজ হলেও প্রথমে তা রেকর্ড করে পরবর্তীতে তা ভিডিও ফাইল আকারে পাঠাতে হতো। তবে এখন থেকে নতুন এ ফিচারের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ভিডিও রেকর্ড করে সাথে সাথেই সেটি সেন্ড করা যাবে।
এ সম্পর্কে হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে এক ব্লগ পোস্টে বলা হয়, "আমরা মনে করি, ভিডিওতে আবেগ প্রকাশের মাধ্যমে মুহূর্তগুলি ভাগ করার জন্য ফিচারটি বেশ মজার ও কার্যকরী হবে৷ যেমন, কাউকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো, কৌতুক শুনে হাসা কিংবা ভালো কোন সংবাদ জানানো ইত্যাদি।"
প্ল্যাটফর্মটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, নতুন ভিডিও ম্যাসেজিং ফিচারটি অনেকটা ভয়েজ ম্যাসেজ পাঠানোর মতোই। চ্যাট বক্সের ডানদিকে নীচে থাকা ভয়েস মেসেজ আইকনে ক্লিক করলেই ভিডিও মোডে সুইচ করার অপশন সামনে আসবে।
ভিডিও মোড অপশনটি সিলেক্ট করে ট্যাপ করে রেখে ভিডিও বার্তা রেকর্ড করা যাবে। বার্তা রেকর্ড করা হলে তা সাথে সাথেই সেন্ড করা যাবে।
ফিচারটি ইতোমধ্যেই বহু ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টে যুক্ত হয়েছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সকলের অ্যাকাউন্টেই ফিচারটি পাওয়া যাবে।
চলতি বছরের শুরুতে হোয়াটসঅ্যাপ 'এডিট মেসেজ' নামেরও নতুন একটি ফিচারও যুক্ত করেছিল। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা একটি মেসেজ পাঠানোর পরবর্তী ১৫ মিনিট সময় পর্যন্ত মেসেজটি এডিট করতে পারে।
হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও মেসেজিং ফিচারটি যুক্তের ঘোষণাটি ঠিক এমন মুহূর্তে দিয়েছে যখন প্ল্যাটফর্মটির মূল কোম্পানি মেটা আয়ের দিক থেকে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে।
গত বুধবার মেটার প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যায়, জুন মাসের শেষে তিন মাস অন্তর হিসেবে কোম্পানিটির আয় বছরে ১১ ভাগ বেড়েছে; অর্থের হিসেবে যা ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২০২২ সালে আর্থিকভাবে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার পর চলতি বছর ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বলেছিলেন জাকারবার্গ। তারই ফলশ্রুতিতে চলতি বছরে মেটার শেয়ারের মূল্য শতকরা ১৫০ ভাগ বেড়েছে।