ইকুয়েডরে টেলিভিশন স্টুডিওর লাইভে ঢুকে তাণ্ডব চালাল বন্দুকধারীরা
ইকুয়েডরে মুখোশ পরা বন্ধুধারীদের একটি গ্রুপ দেশটির এক পাবলিক টেলিভিশনের স্টুডিওতে লাইভে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে। এক্ষেত্রে সম্প্রচার চলাকালীনই ঐ দুর্বৃত্তরা স্টাফদের হুমকি দেয় এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মেঝেতে বসিয়ে রাখে। খবর বিবিসির।
দেশটির গুয়াকিল শহরে চ্যানেল টিসি এর কার্যালয়ে এই ঘটনাটি ঘটে। তবে পুলিশ পরবর্তীতে সকল জিম্মিদের নিরাপদে মুক্ত করতে পেরেছে।
এই ঘটনায় মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়াও জিম্মিকারিদের কাছে থাকা অস্ত্রগুলো আটক করা হয়েছে।
গত সোমবার থেকে ইকুয়েডরে মোট ৬০ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত সহিংসতায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে।
মূলত একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসী জেল থেকে উধাও হয়ে যাওয়ার পর এই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। তবে এই ঘটনার সাথে টিভি স্টেশনের ঘটনার সম্পৃক্ততা আছে কি-না, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এমতাবস্থায় প্রতিবেশী দেশ পেরু নিজেদের সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। তারই অংশ হিসেবে সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ।
এদিকে ইকুয়েডরে সম্প্রতি এই হামলার নিন্দা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পরাশক্তির দেশটি জানায়, তারা ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া ও তার সরকারের সাথে 'ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয়' করছে। একইসাথে তারা ইকুয়েডরকে যেকোনো 'সহায়তা দিতে প্রস্তুত'।
ইকুয়েডর বিশ্বের শীর্ষ কলা রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে একটি। এছাড়াও দেশটি তেল, কফি, কোকো, চিংড়ি এবং মাছের পণ্যও রপ্তানি করে থাকে।
তবে ইকুয়েডরের কারাগারের অভ্যন্তরে ও বাইরে সহিংসতার ঘটনা যেন আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে কোকেনের রুট নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তার অন্যতম ফ্যাক্টর।
এদিকে দেশটিতে চলমান অস্থিরতা নিয়ে প্রেসিডেন্ট নোবোয়া গতকাল (মঙ্গলবার) বলেন, "দেশে এখন 'অভ্যন্তরীণ সশস্ত্র সংঘর্ষ' বিদ্যমান।"
প্রেসিডেন্ট এগুলোকে 'আন্তর্জাতিকভাবে সংগঠিত অপরাধ, সন্ত্রাসী সংগঠন এবং যুদ্ধরত নন-স্টেট অ্যাক্টরস' হিসেবে অভিহিত করেন। একইসাথে সেগুলোকে দূর করার জন্য সামরিক অভিযান চালাতে সশস্ত্র বাহিনীকে একত্রিত করার কথা জানান।