তাপপ্রবাহের কারণে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় স্কুল বন্ধ ঘোষণা, বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদা
দক্ষিণ এশিয়ায় চলমান তাপপ্রবাহের জন্য ফিলিপাইনের পাবলিক স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের স্ব-শরীরে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে থাইল্যান্ডে বিদ্যুতের চাহিদা রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় শনিবার তাপমাত্রা ৩৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে যা ১৯১৫ সালের মে মাসে রেকর্ড করা দেশটির ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে। তীব্র গরম ও দেশব্যাপী জিপনি (জিপ সদৃশ পরিবহণ যা ফিলিপাইনে অনেক জনপ্রিয়) পরিবহণ ধর্মঘটের কারণে ফিলিপাইনের শিক্ষা বিভাগ থেকে সোমবার এবং মঙ্গলবার স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
থাইল্যান্ডের জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে বিদ্যুতের চাহিদা শনিবার (২৭ এপ্রিল) রেকর্ড ৩৬ হাজার ৩শ ৫৬ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে। দেশের উত্তর ও উত্তরপূর্ব অঞ্চলগুলোতে রবিবারের মধ্যে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল।
ব্যাংকক গত সপ্তাহের তাপমাত্রা সূচক 'খুব বিপজ্জনক' মাত্রায় পৌঁছানোর পরে তাপ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সরকারি তথ্য অনুসারে, থাইল্যান্ডে এ বছর উচ্চ তাপমাত্রার কারণে প্রায় ৩০ জন মারা গেছেন।
এ মাসের শুরুর দিকে জাতিসংঘের শিশু তহবিল থেকে সতর্ক করে জানানো হয়েছিল, পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ২৪৩ মিলিয়নেরও বেশি শিশু তাপ-জনিত অসুস্থতা ও মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে কারণ এই অঞ্চলটিতে অস্বাভাবিক মাত্রায় গরম পড়ছে।
ফিলিপাইনের লুজন দ্বীপের প্রাদেশিক সরকার কর্মী এবং জনসাধারণের উপর উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাব কমাতে জুলাই মাস পর্যন্ত সপ্তাহে চার দিনের কার্যদিবস বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে।
এদিকে ফিলিপাইনের আবহাওয়া সংস্থা থেকে তাপ সূচক ও আর্দ্রতা বিবেচনা করে সোমবার রাজধানী ম্যানিলার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছানোর পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
অনুবাদ: তাসবিবুল গনি নিলয়