১৫ লাখ মানুষ ‘হাওয়ায় মিলিয়ে যেতে পারে না’: জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রাফায় বড় ধরনের আগ্রাসন শুরুর কাছাকাছি রয়েছে ইসরায়েল।
এই প্রেক্ষাপটে জার্মানি জানিয়েছে, গাজায় বড় ধরনের আক্রমণ পরিচালনা করা উচিত হবে না।
সামাজিক মাধ্যম 'এক্স' (সাবেক টুইটার) এ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালিনা বেয়ারবক বলেছেন, "রাফায় বড় রকমের আক্রমণের বিরুদ্ধে আমি সতর্ক করছি। ১০ লাখের বেশি মানুষ হাওয়ায় মিলিয়ে যেতে পারে না। তাদের নিরাপত্তা দরকার। জরুরি ভিত্তিতে তাদের মানবিক ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন… অবিলম্বে রাফাহ এবং কারেম আবু সালেম সীমান্ত পারাপারকে পুনরায় খুলে দিতে হবে।
ইসরায়েলি বাহিনী গাজার মিসর সীমান্তে রাফা ক্রসিংয়ের ফিলিস্তিন অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সূত্রে জানা গেছে, রাফাহ ক্রসিংয়ে বেশকিছু ইসরায়েলি ট্যাঙ্কও দেখা গেছে।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনকে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্তমানে রাফাহ ক্রসিং দিয়ে সকল ধরনের পারাপার বন্ধ রয়েছে।
হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে নেওয়ায় গত রাতে ফিলিস্তিনিরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছিলেন। তারা আশা করেছিলেন, একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে থমকে যাবে রাফায় ইসরায়েলি আক্রমণ। কিন্তু তার কিছু সময় পরই ইসরায়েলি বাহিনী রাফায় বিমান হামলা তীব্র করে এবং শহরের কিছু অংশ থেকে বাসিন্দাদের ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।
আরব নিউজ ও আল জাজিরা জানায়, হামাস যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার পরও রাফায় অভিযানের শুরুর নির্দেশ দেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এরপরই রাতের অন্ধকারে রাফায় ঢুকে পড়ে ইসরায়েলি ট্যাংক।
মিসরের আল কাহেরা টেলিভিশন এ সময়কার ভিডিও ফুটেজ সম্প্রচার করেছে। ওই ফুটেজে বন্দুকযুদ্ধ ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এ ছাড়া ট্যাংক এবং হেলিকপ্টারের শব্দও শুনতে পাওয়া যায়।
গাজার এই শহরটি এখন ১৪ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনির আশ্রয়স্থল। তাই রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি ডেনিস ফ্রান্সিস।
তিনি বলেন, এই ধরনের অবিবেচনাপূর্ণ অভিযানের অর্থ হচ্ছে- আরও মানবিক বিপর্যয় এবং কোনও কিছুর মাধ্যমেই এটিকে ন্যায্যতা দেওয়া যায় না।
অনুবাদ: নূর মাজিদ