মাউন্ট এভারেস্টে একই দিনে দুই বিশ্ব রেকর্ড
রবিবার (১২ মে) দুটো বিশ্ব রেকর্ডের সাক্ষী হয়েছে মাউন্ট এভারেস্ট। নেপালী শেরপা কামি রিতা ও ব্রিটিশ পর্বতারোহী কেন্টন কুল (বিদেশি হিসেবে) সর্বোচ্চ বেশী সংখ্যকবার এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার রেকর্ড করেছেন।
কামি রিতা শেরপা সর্বোচ্চ ২৯ বার এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছেছেন এবং কেন্টন কুল পৌঁছেছেন রেকর্ড ১৮ বার।
গতকাল স্থানীয় সময় সাড়ে ৭টার কিছু পরে এভারেস্টের চূড়ার ৮ হাজার ৮শ ৪৯ মিটার উচ্চতাকে ছুঁয়ে নিজের আগের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েছেন ৫৪ বছর বয়সী কামি রিতা। ১৯৯৪ সাল থেকে এভারেস্ট-যাত্রা শুরু করে গাইড হিসেবে পর্বতারোহীদের পথ দেখাচ্ছেন তিনি। গাইড হিসেবে গত ২০ বছর ধরে বছরে অন্তত একবার এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছেছেন তিনি।
কামি রিতা দীর্ঘ সময়ের প্রতিদ্বন্দ্বী ও স্বদেশী পাসাং দাওয়া শেরপা থেকে তার মুকুট পুনরুদ্ধার করতে গত বছর দুবার এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গ্লুচেস্টারশায়ারের কেন্টন কুলও রবিবার এভারেস্টে চূড়ায় ওঠেন।
ব্রিটিশ নাগরিক কেন্টও একজন পর্বতারোহী ও গাইড। তিনি ২০২২ সালে সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেছিলেন, "আরো অনেক শেরপারা আরো অনেকবার চূড়ায় (এভারেস্টের) আরোহণ করেছেন।"
লাকপা শেরপা প্রথম নারী হিসেবে সর্বোচ্চ বেশি সংখ্যকবার এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার রেকর্ড করেছেন। ২০২২ সালে ১০ম বাবের মতো চূড়ায় ওঠার পর তিনি এ রেকর্ড গড়েছিলেন।
নেপাল সরকার এ বছরের বসন্ত মৌসুমে প্রায় ৪০০ জনকে পর্বতারোহণের অনুমতি দিয়েছে যা এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে জুন পর্যন্ত চলবে। প্রায় সকল পর্বতারোহীর সাথে একজন করে স্থানীয় গাইড থাকায় প্রায় ৮০০ জন এভারেস্টে আরোহণ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত বছর ৬০০ জনেরও বেশি লোক এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছেছিল। কিন্তু গত বছর আবহাওয়া অনেক বেশি প্রতিকূল থাকায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
অনুবাদ: তাসবিবুল গনি নিলয়