সন্ত্রাসী হামলা মোকাবিলায় সর্বশক্তি প্রয়োগ করুন, কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে মোদি
কাশ্মীরের বাসে সন্ত্রাসী হামলার পর বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জরুরি বৈঠকে বসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকে তিনি ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী সক্ষমতার পূর্ণশক্তিকে মোতায়েনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বৈঠকে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান নিয়েও কথা বলেন তিনি।
গত কয়েকদিন ধরে জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলে একের পর এক সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। গত চারদিনে রিয়াসি, কাঠুয়া ও ডোডা জেলার চারটি জায়গায় সন্ত্রাসী হামলায় নয় তীর্থযাত্রী ও এক সিআরপিএফ জওয়ান নিহত এবং সাত নিরাপত্তারক্ষী ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবারের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে কেন্দ্রশাসিত ওই অঞ্চলের নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে। সন্ত্রাস মোকাবিলায় যে সমস্ত উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, সে সম্পর্কেও তাকে অবহিত করা হয়।
উল্লেখ্য রোববার রিয়াসিতে তীর্থযাত্রীদের বহনকারী একটি বাসে সন্ত্রাসীরা হামলা চালালে বাসটি রাস্তা থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গভীর খাদে পড়ে যায়। এতে নয়জন নিহত এবং ৪১ জন আহত হন। দু'দিন পর ডোডায় একটি যৌথ চেকপোস্টে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।
একই রাতে কাঠুয়া জেলায় হীরানগরের সাইদা সুখাল গ্রামে একটি বাড়িতে উগ্রপন্থীরা হামলা চালালে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) এক জওয়ান এবং এক সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়।
বুধবার সন্ধ্যায় জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডা জেলার কোটা টপ এলাকায় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নতুন করে বন্দুকযুদ্ধে এক পুলিশকর্মী আহত হন।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, এ হামলার পিছনে সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার হাত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এটি ডোডা জেলায় দুটি হামলায় জড়িত চার সন্ত্রাসীর স্কেচ প্রকাশ করেছে।
হামলার তদন্তে ১১টি দল গঠন করেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এনআইএ) একটি দলও রিয়াসির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে।