ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির জন্য যে শর্ত দিলেন পুতিন
টানা দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। এবার যুদ্ধের বিরতি টানতে নতুন শর্তের জানান দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লামিদির পুতিন। খবর বিবিসি'র।
ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির সংলাপ শুরুর জন্য দুটি শর্ত দিয়েছেন পুতিন। শর্ত দুটি হলো— এক, যুদ্ধবিরতির জন্য রাশিয়ার দখলকৃত এলাকা থেকে ইউক্রেনকে তাদের সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। দুই, শান্তি আলোচনা শুরুর আগে ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের আশা ছেড়ে দিতে হবে।
পশ্চিমাদের নেতৃত্বে ইউক্রেনের শান্তি প্রচেষ্টা নিয়ে সুইজারল্যান্ডে এ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের মধ্যেই পুতিন তার শর্তের কথা প্রকাশ করলেন। সুইজারল্যান্ডের ওই সম্মেলনে বিশ্বের ৯০টি দেশের প্রতিনিধি ও সংস্থা অংশ নিলেও রাশিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
শুক্রবার মস্কোয় রুশ রাষ্ট্রদূতদের এক বৈঠকে পুতিন ইউক্রেন সরকারকে রাশিয়ার আংশিক দখল করা চারটি অঞ্চল- দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়া থেকে সরে আসার আহ্বান জানান।
এদিকে, ইউক্রেন ভলোদিমির জেলেনস্কি দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন, রুশ বাহিনী ক্রিমিয়াসহ ইউক্রেনের সব ভূখণ্ড ত্যাগ না করা পর্যন্ত ইউক্রেন মস্কোর সঙ্গে কোনো আলোচনায় বসবে না।
পুতিন বলেন, 'ইউক্রেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটো সামরিক জোটে যোগদানের প্রচেষ্টা বন্ধ করতে হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'যখনই কিয়েভ ঘোষণা করবে যে তারা এ ধরনের সিদ্ধান্তের জন্য প্রস্তুত, আমরা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির নির্দেশ দেব এবং আক্ষরিক অর্থে সেই মুহূর্তে আলোচনা শুরু করব।'
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক এই প্রস্তাবকে 'সম্পূর্ণ প্রতারণা' বলে অভিহিত করেছেন।
পরে শুক্রবার ইতালির স্কাই টিজি২৪ টেলিভিশনকে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, 'এটি এক ধরনের আল্টিমেটাম বার্তা। ব্যাপারটা অনেকটা হিটলারের মতো, যখন তিনি বলেছিলেন, 'আমাকে চেকোস্লোভাকিয়ার কিছু অংশ দাও, তাহলে সব এখানেই শেষ হয়ে যাবে।'
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনও রাশিয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, 'পুতিন অবৈধভাবে সার্বভৌম ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড দখল করেছেন। তিনি ইউক্রেনকে নির্দেশ দিতে পারেন না যে শান্তির জন্য তাদের কী করতে হবে।'
ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ বলেছেন, পুতিন ভালো উদ্দেশ্যে এ প্রস্তাব দেননি।
অনুবাদ: সাকাব নাহিয়ান শ্রাবন