‘বিলুপ্ত’ এক দানবীয় মাছের সন্ধান মিলল মেকং নদীতে!
বিলুপ্তপ্রায় বিরল এক প্রজাতির মাছের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ২০০৫ সালে কম্বোডিয়ার মেকং নদীতে এই মাছ শেষবার দেখা গিয়েছিল। মাঝখানে কেটে গেছে বেশ কয়েক বছর। বিজ্ঞানীরা ধরেই নিয়েছিলেন হয়ত, আর দেখা মিলবে না। তবে ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে মেকং নদীতে আরও তিনবার এই মাছের দেখা মিলেছে।
কম্বোডিয়ার ফেনম পেনে ইনল্যান্ড ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের একজন গবেষক বলেন, 'জায়ান্ট স্যামন কার্প' নামের এই মাছ মেকং অঞ্চলের প্রতীক।
এই মাছটি ৪ ফুট পর্যন্ত বড় হতে পারে এবং চোয়ালের কাছটা হুকের মত বাঁকানো। এছাড়া এর চোখের চারপাশে উজ্জ্বল হলুদ রং দেখা যায়।
বায়োলজিক্যাল কনজারভেশন-এ প্রকাশিত একটি গবেষণার সহ-লেখক চীনা বলেন, ২০০৫ সালে শেষবারের মতো দেখা যাওয়ার পর, 'এই প্রজাতির মাছ মেকং অঞ্চল থেকে কয়েক দশক ধরে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল'।
২০১৭ সাল থেকে, গবেষকরা স্থানীয় জেলেদের সাথে যোগাযোগ তৈরি করেছেন। তারা যদি কোনো নতুন বা অস্বাভাবিক মাছ দেখে, তা গবেষকদের জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে। এর ফলে ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে কম্বোডিয়ার মেকং নদীতে তিনটি জায়ান্ট স্যামন কার্প এর দেখা মিলে।
"প্রথমবারের মতো এই মাছটি দেখে আমি অবাক হয়েছিলাম," বলেন বুনিয়েথ চান, গবেষণার আরেকজন সহ-লেখক।
গবেষকরা বলছেন, এই ঘটনা মাছটির ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন আশা তৈরি করেছে। মাছটির আরেকটি নাম 'গোস্ট ফিশ' বা 'ভূত মাছ'।
তবে এই ঘটনা মেকং অঞ্চলের অন্যান্য মাছের জন্যও উদ্বেগ তৈরি করেছে। এই অঞ্চলে শিল্প দূষণ এবং অতিরিক্ত মাছ ধরার কারণে ঝুঁকি রয়েছে। এছাড়া নদী এবং এর উপনদীগুলোতে ৭০০টিরও বেশি বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে, যার ফলে মাছগুলোর চলাচলে বাধা তৈরি হয়েছে, বলেন গবেষক ব্রায়ান আইলার।
গবেষকরা থাইল্যান্ড এবং লাওসের স্থানীয়দের সাথে কাজ করে দেখতে চান, এই মাছগুলো এখনও মেকং নদীর অন্য অংশেও আছে কিনা।