সিরিয়ায় রুশ সামরিক ঘাঁটির ভবিষ্যৎ নিয়ে যা জানাল ক্রেমলিন
সিরিয়ার নতুন ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটিগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা চলছে বলে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) জানিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। তবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এই মাসের শুরুর দিকে হায়াত তাহরির আল-শাম-এর (এইচটিএস) নেতৃত্বে সিরিয়ার বিদ্রোহী ও বিরোধী গোষ্ঠীগুলোর আকস্মিক হামলার ফলে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হন। আসাদ সিরিয়া থেকে পালিয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে রাশিয়া ও সিরিয়া একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। এই চুক্তির আওতায় সিরিয়ার তর্তুস নৌঘাঁটি এবং পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত খামেইমিম বিমানঘাঁটি ৪৯ বছরের জন্য রাশিয়াকে লিজ দেওয়া হয়।
সোমবার সাংবাদিকরা তর্তুস ও খামেইমিম ঘাঁটির ভবিষ্যৎ এবং রাশিয়া লিবিয়ায় আরও বড় ধরনের সামরিক উপস্থিতি গড়ে তুলতে পারে কি না, সে বিষয়ে জানতে চাইলে পেসকভ বলেন, "এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।"
তিনি আরও বলেন, রাশিয়া "দেশটির (সিরিয়া) পরিস্থিতির দায়িত্বে থাকা বাহিনীগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং সবকিছুই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে।"
বিভিন্ন সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স গত সপ্তাহে জানিয়েছিল, সিরিয়ায় রুশ বিমান বাহিনীর কার্যক্রম বেড়েছে। একটি কার্গো বিমান লাতাকিয়া প্রদেশ থেকে লিবিয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল।
তবে পরবর্তী প্রতিবেদনে বলা হয়, মস্কো সিরিয়া থেকে তাদের দুটি সামরিক ঘাঁটি ছাড়ছে না; বরং দেশটির উত্তরাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করছে।
টাস-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, রাশিয়া দামেস্কের নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে দেশটিতে রাশিয়ার "উপস্থিতি ও পূর্বের মর্যাদা" বজায় রাখা যায়। এতে আরও বলা হয়, মস্কো "অস্থায়ী নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিশ্চিত করেছে, ফলে সামরিক ঘাঁটিগুলো স্বাভাবিকভাবেই কাজ করছে।"
রুশ কর্মকর্তারা এর আগে জানিয়েছিলেন, ঘাঁটিগুলো উচ্চ সতর্কতায় থাকলেও তাৎক্ষণিক কোনো হুমকি নেই।
চলমান সংলাপের ইঙ্গিত হিসেবে এইচটিএস-এর নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি বলেছেন, সিরিয়ার নতুন নেতৃত্ব "রাশিয়াকে উসকানি দেওয়া এড়াতে আগ্রহী ছিল।" তিনি আরও জানান, নতুন সরকার মস্কোকে "সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ দিতে প্রস্তুত, যাতে পারস্পরিক স্বার্থ রক্ষা হয়।"