পোল্যান্ডের আউশভিৎস স্মৃতিস্তম্ভে আসলে গ্রেপ্তার করা হবে নেতানিয়াহুকে
পোল্যান্ডের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৱ্লাদিস্লাও বার্তোসজেস্কি শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রেজচপসপলিতা পত্রিকায় বলেছেন, যদি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পোল্যান্ডে আসেন, তাহলে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের (আইসিসি) প্রতি পোল্যান্ডের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।
বার্তোসজেস্কি আউশভিৎস মুক্তির ৮০তম বার্ষিকী উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে নিশ্চিত করেন, নেতেনিয়াহু পোল্যান্ডে প্রবেশ করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ইসরায়েলের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টকে নভেম্বর মাসে আইন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) একাধিক অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করেন। রোম চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো আইসিসি গ্রেপ্তারি পরোয়ানার প্রতি আইনগতভাবে বাধ্য।
আউশভিৎস মুক্তি বার্ষিকী সাধারণত পোল্যান্ডে একটি বড় রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান হিসেবে উদযাপিত হয়। তবে, নেতানিয়াহুকে এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা নিশ্চিত কিছু বলেননি। এদিকে, ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হার্জোগেরও এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার সম্ভাবনা নেই।
ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সার একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে বার্ষিকী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
আইসিসি গ্রেপ্তারি পরোয়ানার প্রতি সম্মতি
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৭টি সদস্য রাষ্ট্র রোম চুক্তির অংশ হিসেবে, আইসিসি গ্রেপ্তারি পরোয়ানার প্রতি আইনগতভাবে বাধ্য। এখন পর্যন্ত একমাত্র হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্ট ভিক্টর অর্বান বলেছেন, নেতানিয়াহু যদি হাঙ্গেরিতে আসেন, তাকে গ্রেপ্তার করা হবে না। তিনি নেতানিয়াহুকে হাঙ্গেরি যাওয়ার আমন্ত্রণও জানিয়েছেন।
প্রথমে একাধিক ইউরোপীয় দেশ বলেছিল, তারা নেতানিয়াহুকে তাদের দেশে গেলে গ্রেপ্তার করবে। তবে, এখন অনেক দেশ এই সিদ্ধান্ত আংশিক বা পুরোপুরি পরিবর্তন করেছে।
ফ্রান্স প্রথমে জানিয়েছিল, তারা পুরোপুরি গ্রেপ্তারি পরোয়ানার সাথে সম্মতি দেবে। কিন্তু লেবাননে যুদ্ধবিরতি আলোচনা শেষে ফ্রান্স ঘোষণা দেয়, নেতানিয়াহুকে কূটনৈতিক ইমিউনিটির মাধ্যমে সুরক্ষিত রাখা হবে।
তবে স্পেন, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, আয়ারল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া এবং স্লোভেনিয়া নিশ্চিত করেছে, তারা কূটনৈতিক ইমিউনিটি থাকলেও নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করবে।