চার হাফ সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বড় সংগ্রহ
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে রানের বন্যা বইয়ে দিয়ে জাতীয় দলে ফেরা। কিন্তু আসল স্বপ্নের ভুবনে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারছিলেন না এনামুল হক বিজয়। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে বেশ কয়েকটি ম্যাচে অনুজ্জ্বল থেকে গেছেন তিনি। কিন্তু যে ফরম্যাটে খেলে জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়া, সেই এক দিনের ম্যাচ পেতেই হাসি ফুটলো বিজয়ের ব্যাটে, খেললেন দারুণ এক ইনিংস। তামিম ইকবাল, লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহিমদের ব্যাটে ঝরলো রানের ফোয়ারা। বাংলাদেশ পেল বড় সংগ্রহ।
শুক্রবার হারারে স্পোর্টস ক্লাবে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ২ উইকেটে ৩০৩ রানের বড় সংগ্রহ গড়েছে বাংলাদেশ। এই মাঠে এটা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। এদিন যে উইকেটে গেছেন, সেই রানের দেখা পেয়েছেন। ব্যাটিং সহায়ক এই উইকেটে বাংলাদেশের প্রথম চারজন ব্যাটসম্যানই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। শেষ দিকে নেমে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও ঝড়ো ব্যাটিং করেন।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশের শুরুটা হয় দারুণ। ধীর গতিতে রান উঠলেও উইকেট হারানো নিয়ে ভাবতে হয়নি সফরকারীদের। উদ্বোধনী জুটিতে ২৫.৪ ওভারে ১১৯ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক তামিম ও লিটন। যা ওয়ানডেতে তাদের চতুর্থ শতরানের জুটি।
এই জুটি গড়ার পথে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫৪তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম। এরপর আরও ৭ রান করে পৌঁছান অনন্য এক মাইলফলকে। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান ও এশিয়ার পঞ্চম ওপেনার হিসেবে ওয়ানডেতে ৮ হাজার রান পূর্ণ করেছেন তামিম। ২২৯ ওয়ানতে অভিজ্ঞ এই ওপেনারের রান এখন ৮ হাজার ৫। মাইলফলকে ছোঁয়ার দিনে তামিম ৮৮ বলে ৯টি চারে ৬২ রান করেন।
এরপর পর বিজয়ের সঙ্গে জুটি গড়েন লিটন। এ সময় দ্রুত গতিতে রান তোলার দিকে মন দেন লিটন। ধীর মেজাজে হাফ সেঞ্চুরি করা ডানহাতি এই ওপেনারই মারকুটে মেজাজে রান তুলতে থাকেন। ৭৫ বলে ওয়ানডের ষষ্ঠ হাফ সেঞ্চুরি করা লিটন ৮৯ বলে ৯টি চার ও একটি ছক্কায় করেন ৮১ রান। সেঞ্চুরির দেখা পেতেই পারতেন তিনি। কিন্তু রান নেওয়ার সময় ডান উরুতে টান পড়ায় স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয় লিটনকে।
লিটন মাঠ ছাড়লেও চাপ বুঝতে হয়নি বাংলাদেশকে, রান এসেছে ছন্দময় গতিতেই। তৃতীয় উইকেটে জুটি গড়ে দারুণ ব্যাটিং করতে থাকেন বিজয় ও এই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশ দলে ফেরা মুশকিফুর রহিম। তৃতীয় উইকেটে ৯৬ রান যোগ করেন এ দুজন। এর মধ্যে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ৩ বছর পর এই ফরম্যাটে খেলতে নামা বিজয়। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ৬২টি বলে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৭৩ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন।
এরপর মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে যোগ দেন মাহমুদউল্লাহ। এ দুজন ৩৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন। মুশফিক ৪৯ বলে ৫টি চারে ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন, এই ফরম্যাটে এটা তার ৪২তম হাফ সেঞ্চুরি। মাহমুদউল্লাহ ১২ বলে ২টি চারে ২০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। জিম্বাবুয়ের অভিষিক্ত পেসার ভিক্টর নিয়াউচি ও সিকান্দার রাজা একটি করে উইকেট নেন।