ড্রাগ টেস্ট করিয়েছি: পার্টি বিতর্কের পর জানালেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন
এক ফিনিশ পপ তারকার সঙ্গে নাচের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন বলেছেন, তিনি ড্রাগ টেস্ট নিয়েছেন।
এ সপ্তাহে একটি পার্টিতে নাচের ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর সমালোচনার মুখে পড়েন ৩৬ বছর বয়সি সানা মেরিন। ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর কয়েকজন রাজনীতিবিদ সানা মেরিনের ড্রাগ টেস্ট করানোর দাবি জানান।
শুক্রবার (১৯ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে মারিন জানিয়েছেন, শুক্রবারই তিনি ড্রাগ টেস্ট করিয়েছেন। টেস্টের ফল আগামী সপ্তাহে আসতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে মারিন পুনরায় কোনো ধরনের মাদক নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন।
শুক্রবার হেলসিঙ্কিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'আমি বেআইনি কিছু করিনি।'
যেকোনো ধরনের উদ্বেগ নিরসনের জন্য ড্রাগ টেস্ট নিয়েছেন জানিয়ে মারিন বলেন, 'টিনেজ বয়সেও আমি কোনো ধরনের মাদক নিইনি।'
সাংবাদিকরা এ সময় ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, এরকম পার্টিতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ প্রয়োজন দেখা দিলে তিনি সরকারি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কি না।
জবাবে সানা মারিন বলেন, 'হুট করে মাঝ রাতে স্টেট কাউন্সিল প্যালেসে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি কখনও সৃষ্টি হয়েছে কি না আমি মনে করতে পারছি না।'
তিনি আরও বলেন, 'আমার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা অক্ষতই ছিল বলে মনে করি। যেদিন পার্টি করছিলাম, সেদিন কোনো মিটিং ছিল না।'
সানা মারিন স্বীকার করেন, তার ছবি তোলা হচ্ছিল এটা তিনি জানতেন। কিন্তু সেসব ছবি ও ভিডিও প্রকাশ্যে চলে আসায় তিনি বিচলিত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি অবসর আর কাজের সময়ের পার্থক্য মানুষ বুঝতে পারে।'
সানা মারিন একসময় ছিলেন বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী; যদিও সেই খেতাব এখন চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বরিকের দখলে।
তবে নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কখনোই রাখঢাক করেননি সানা মারিন। প্রায়ই বিভিন্ন পার্টি বা সঙ্গীত উৎসবে দেখা ক্যামেরাবন্দী হয়েছেন তিনি।
৩৬ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, তিনি মনে করেন না যে তার আচরণে পরিবর্তন আনা দরকার। 'আমি আগেও যা ছিলাম, এখনও সেই মানুষটিই আছি। পরেও তাই থাকবো। আর সেটা সবাই মেনে নেবেন বলেই আমার প্রত্যাশা।'
- সূত্র: বিবিসি