ভারতের টুইন টাওয়ার ভাঙায় ৫০০ কোটি রূপির লোকসান
রোববার দুপুরে বিস্ফোরক দিয়ে মাত্র ৯ সেকেন্ডে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের নয়ডা শহরে বিধিবহির্ভূতভাবে নির্মিত 'সুপারটেক টুইন টাওয়ার'। জোড়া ভবন ধ্বংসে প্রায় ৫০০ কোটি রূপির লোকসান হয়েছে। এমনটাই দাবি করেছেন নির্মাণকারী সংস্থা সুপারটেকের চেয়ারম্যান আরকে অরোরা।
ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে অরোরা বলেছেন, ''জমি, নির্মাণ, একাধিক অনুমোদন, ব্যাংকে সুদের হার, সেই সঙ্গে জোড়া টাওয়ারের ক্রেতাদের ১২ শতাংশ সুদের হারে টাকা ফেরত ও অন্যান্য খরচ- এই সব মিলিয়ে আমাদের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫০০ কোটির।"
টাওয়ার ধ্বংসের খরচ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন যে, 'এডিফিস ইঞ্জিনিয়ারিং' নামে যে সংস্থা টুইন টাওয়ার ভাঙার দায়িত্ব নিয়েছিল, তাদের ১৭.৫ কোটি রূপি দিয়েছে সুপারটেক।
কুতুব মিনারের চাইতেও থেকেও উঁচু নয়ডার এই টাওয়ার দুটি বেআইনিভাবে নির্মাণের অভিযোগ উঠেছিল। যা নিয়ে পরবর্তী সময়ে মামলা গড়ায় আদালতে। শেষমেশ এই ইমারত ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
রোববার ভারতের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে ভেঙেই ফেলা হয় প্রাসাদোপম ভবন দুটি। ৩,৭০০ কেজিরও বেশি বিস্ফোরক ব্যবহার করে নিরাপদে ধ্বংস করা হয়েছে এই বহুতল।
বেআইনি নির্মাণ প্রসঙ্গে অরোরা দাবি করেছেন, ''নয়ডা উন্নয়ন পরিষদের ছাড়পত্র নিয়েই আমরা ওই দু'টি টাওয়ার তৈরি করেছিলাম।"
এক বিবৃতি জারি করে তিনি এ-ও বলেছেন, "ভবন বানানোর জন্য যে পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাতে কোনও রকম বদল করা হয়নি। শুধু তাই-ই নয়, নয়ডা কর্তৃপক্ষকে পুরো টাকা দেওয়ার পরই এই ভবন দুটি বানানো হয়েছিল।"
সুপারটেক এমারেল্ড কোর্ট প্রকল্পের অংশ হিসেবে নয়ডা এক্সপ্রেসওয়ের কাছে সেক্টর ৯৩-এ এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছিল। দু'টি টাওয়ার মিলিয়ে ৯০০টিরও বেশি ফ্ল্যাট ছিল। জোড়া টাওয়ারের বর্তমান বাজারমূল্য ৭০০ কোটি রূপিরও বেশি বলেই দাবি নির্মাণকারী সংস্থার।
- সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা