ভারত বাধা পেরোনো হলো না নিগারদের
পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় হারের ব্যথা ভুলে দোর্দন্ড প্রতাপেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দল। পরের ম্যাচে মালয়েশিয়াকে গুঁড়িয়ে জয়ের ধারায় ফেরে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের আসরে পরাশক্তি ভারতের বিপক্ষেও দারুণ কিছু করার লক্ষ্যে মাঠে নেমেছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু টুর্নামেন্টটির সবচেয়ে বেশিবারের (পাঁচবার) চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে লড়াইও করতে পারলো না বাংলাদেশ, মেনে নিতে হলো বড় হার।
শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ৫৯ রানের বড় ব্যবধানে হেরে গেছে বাংলাদেশ। দলটির বিপক্ষে ১৪ টি-টোয়েন্টিতে এটা বাংলাদেশের একাদশতম হার, বাংলাদেশের জয় দুটি। সর্বশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি খেলে বাংলাদেশ।
এবারের এশিয়া কাপে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে ভারত। যদিও চতুর্থ ম্যাচে জয়রথ থেমে যায়, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরে যায় তারা। পরের ম্যাচ দিয়েই ছন্দে ফিরলো স্মৃতি মান্দানার দল। ৫ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে ভারত। চার ম্যাচে ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে আছে এশিয়া কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করে ভারত। দুই ওপেনার স্মৃতি মান্দানা ও শেফালি ভার্মার পর জেমিমাহ রদ্রিগেজের দারুণ ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেটে ১৫৯ রান তোলে ভারত। জবাবে ধীরগতিতে শুরু করা বাংলাদেশ একবারের জন্য জয়ের সম্ভাবনাও জাগাতে পারেনি। ৭ উইকেটে ১০০ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে সাবধানী শুরু করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার ফারজানা হক ও মুর্শিদা খাতুন। ৯.১ ওভারে ৪৫ রান যোগ করেন তারা। মুর্শিদার বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ২৫ বলে ২টি চারে ২১ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। এরপর অধিনায়ক নিগারের সঙ্গে আরেকটি জুটি গড়েন ফারজানা। এই জুটি থেকে আসে ২৩ রান।
দলীয় ৬৮ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ, তখন ওভার চলে ১৩.৪। উইকেটে না হারালেও ম্যাচ থেকে ততোক্ষণে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। কারণ বল-রানের ব্যবধান অনেক বেড়ে যায়। ৪০ বলে ৩টি চারে ৩০ রান করে ফারজানা ফেরার পর কেবল নিগার কিছু রান করেন। বাংলাদেশ অধিনায়ক ২৯ বলে ৫টি চারে ৩৬ রান করেন। এরপর বাংলাদেশের আর কেউ দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। ভারতের দীপ্তি শর্মা ও শেফালি ভার্মা ২টি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান রেনুকা সিং ও স্নেহ রানা।
এর আগে ব্যাটিং করা ভারতকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন শেফালি ও মান্দানা। ১২ ওভারে ৯৬ রানের জুটি গড়েন তারা। ৩৮ বলে ৬টি চারে ৪৭ রান করেন মান্দানা। ম্যাচসেরা শেফালি ৪৪ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৫ রান করেন। পরে ২৪ বলে ৪টি চারে অপরাজিত ৩৫ রান করেন জেমিমাহ, ১০ রান করেন দীপ্তি। বাংলাদেশের রুমানা আহমেদ ৩ ওভারে ২৭ রানে ৩টি উইকেট নেন। একটি উইকেট পান সালমা।