জ্যাকলিনের কোনও দোষ নেই, সম্পর্কে ছিলাম তাই উপহার দিয়েছি: সুকেশ
জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের কোনও দোষ নেই। তিনি কোনভাবেই ২০০ কোটি রূপির তহবিল তছরুপ-কাণ্ডে জড়িত নন। আইনজীবী মারফত চিঠি পাঠিয়ে এসব স্পষ্ট করতে চেয়েছিলেন জেলবন্দি সুকেশ চন্দ্রশেখর। দীর্ঘ সেই চিঠিতে আরও অনেক কিছুই ফাঁস করেছিলেন সুকেশ, যা প্রকাশ্যে এসেছে আজ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব।
সুকেশের দাবি, বহুমূল্য গাড়ি থেকে শুরু করে উপহার যা কিছু আর্থিক লেনদেন সবটাই ভালবেসে জ্যাকলিনকে দেওয়া। তারা সম্পর্কে ছিলেন। সেখানে উপহার দেওয়া কি অস্বাভাবিক?
সুকেশ জানিয়েছেন, ''জ্যাকলিনের এতে জড়িয়ে পড়া দুর্ভাগ্যজনক। আগেও বলেছি, আমরা সম্পর্কে ছিলাম। ওকে আর ওর পরিবারকে উপহার দিয়েছি। এটা কি তাদের দোষ হতে পারে? আমার কাছে ভালবাসা ছাড়া কিছুই কখনও চায়নি জ্যাকলিন। বলেছিল, পাশে থাকতে। প্রতিটি পাই-পয়সা যা আমি ওদেরকে উপহার দিতে খরচ করেছি, তা বৈধ আয় থেকেই। এই প্রমাণ আমি আগেও আদালতে দিয়েছি।''
আরও পড়ুন
গুচির ব্যাগ থেকে হীরার দুল, জ্যাকলিনের ৭ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত
চিঠিতে সুকেশ আরও জানিয়েছেন, তার একটি কয়লা খনির ব্যবসা রয়েছে ইন্দোনেশিয়ায়। একাধিক হোটেলের স্বত্ব এবং খবরের চ্যানেলও ছিল যেগুলো তিনি বিক্রি দিয়েছেন। সুকেশের দাবি তাকে অস্ত্র এবং সুরক্ষার চুক্তিতে ফাঁসানো হয়েছিল।
যদিও শনিবার দিল্লির পাতিয়ালা আদালতে জ্যাকলিনের নিয়মিত জামিনের আবেদন খারিজ করে দিতে চেয়েছিল ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতা-সহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে। ইডির সূত্রে জানানো হয়েছে, তদন্ত চলাকালীন দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন জ্যাকলিন। কিন্তু লুকআউট নোটিশ জারি থাকায় পারেননি।
আদালতের নির্দেশে জ্যাকলিনের অন্তর্বর্তী সুরক্ষার মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী ১০ নভেম্বর অবধি করা হয়েছে। পরবর্তী শুনানি সে দিনই।