কালই শেষ ম্যাচ শ্রীরামের?
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একটি ম্যাচ বাকি আছে বাংলাদেশের। ৬ নভেম্বর অ্যাডিলেড ওভালে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই ম্যাচ জিতে স্বপ্নের সিড়ি মিলতে পারে সাকিব আল হাসানের দলের, আবার এদিনই বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যেতে পারে তাদের। এই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া শ্রীধরন শ্রীরামেরও।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন বাংলাদেশের সেমি-ফাইনালের সমীকরণ মেলানোর পাশাপাশি আলোচনায় থাকলো শ্রীধরনের চুক্তি নবায়নের বিষয়টিও। সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে প্রশ্নও করা হয় ভারতীয় এই কোচকে। তিনি অবশ্য বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। তবে বিসিবি জানিয়েছে, শ্রীরামের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করা হবে কিনা, এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
বাংলাদেশ দলের সঙ্গে অ্যাডিলেডে আছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। এ বিষয়ে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বিসিবির এই পরিচালক বলেন, 'তার চুক্তি শেষ হচ্ছে। অনেকেই জানতে চাচ্ছে তার চুক্তি নবায়নের বিষয়ে। তবে আমরা এ ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি, সিদ্ধান্ত হবে বোর্ড সভায়। কোচরা সবাই ছুটিতে যাবেন। এখান থেকে দেশে ফেরার পর এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'
এর ঘণ্টা খানেক আগে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে চুক্তি নবায়নের ব্যাপারে শ্রীরামকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'আমি একটা ম্যাচ করে তাকাচ্ছি, একটি টুর্নামেন্ট ধরে ভাবছি। আমার এখন স্রেফ লক্ষ্য, বিশ্বকাপ ভালোভাবে শেষ করা। আমার মনোযোগ কেবল সেদিকেই। দূরেরটা নিয়ে এখনও ভাবিনি।'
জানা গেছে, শ্রীরামের কাজে সন্তুষ্ট বিসিবি। ক্রিকেটাররাও তাকে দীর্ঘমেয়াদে চান। আবার রেকর্ডও পক্ষে চলে এসেছে শ্রীরামের। তার তত্ত্ববধানে খেলে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে একাধিক ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। কোচ হিসেবে এরই মধ্যে প্রসংশা কুড়ানো সাবেক ভারতীয় এই ক্রিকেটারের কাছে এটাই বাংলাদেশের সেরা বিশ্বকাপ।
পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগেরদিন সাফল্যের সেই চিত্র তুলে ধরে শ্রীরাম বললেন, 'টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা আসর এটি। বাংলাদেশের ইতিহাসে আগে কখনও মূল পর্বে দুটি খেলায় জেতেনি দল। আমরা সেটা করেছি। ছেলেরা নিজেদের নিয়ে গর্ব করতে পারে।'
এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের জন্য গত আগস্টে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব পান শ্রীরাম। রাসেল ডমিঙ্গো প্রধান কোচ হিসেবে থাকার পরও তাকে সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটের দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রধান কোচ থাকায় শুরুতে শ্রীরামকে টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে ডমিঙ্গোকে শুধু ওয়ানডে ও টেস্টের দায়িত্বে রাখা হয়।