গিলিয়াড ফার্মার ওষুধে করোনামুক্ত হয়েছেন গুরুতর অসুস্থদের দুই-তৃতীয়াংশ
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানি- গিলিয়াড সায়েন্সেস ইঙ্ক, তাদের একটি পরীক্ষামূলক ওষুধ করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় ব্যবহার করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে। এর ফলে খুব শীঘ্রই বাজারে করোনা ভাইরাস প্রতিষেধক ওষুধ আসবে- উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে এমন সম্ভাবনার দিগন্ত।
কোম্পানিটি তাদের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই দাবি করে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রসিদ্ধ সাময়িকী নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন তা প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে প্রকাশ, গিলিয়াড ফার্মার ওষুধ যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং কানাডায় করোনায় গুরুতর অসুস্থ ৫৩ ব্যক্তিকে দেওয়া হয়। এদের সকলেই কোভিড-১৯ ভাইরাসের কারণে তীব্র শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন।
তাদের কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস যন্ত্র বা ভেন্টিলেটর দিয়ে জীবিত রাখা হয়েছিল। এদের মাঝে চারজনকে অবশ্য হার্ট-লাংস বাই পাস মেশিন দিয়ে নিঃশ্বাস নিতে সাহায্য করা হয়। খবর ব্লুমবার্গের
এসব রোগীকে টানা ১০ দিন ধরে গিলিয়াদের তৈরি রেমডিসিভির ওষুধের নিয়মিত ডোজ দেওয়া হয়। করোনার নতুন কোনো ওষুধ মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ অনুমোদিত না হলেও, মৃত্যুপথযাত্রী রোগীদের জীবনরক্ষায় মানবিক উদ্যোগ হিসেবে এটি ব্যবহার করা হয়। এছাড়া তাদের জীবনরক্ষার অন্য কোনো উপায় ছিল না।
রেমডিসিভির দেওয়ার ১৮ দিনের মাথায় ৬৮ শতাংশ বা তিন ভাগের দুইভাগ রোগীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়। এর ফলে যান্ত্রিক ব্যবস্থার মাধ্যমে শ্বাস নিচ্ছিলেন, এমন ৩০ জন রোগীর মধ্যে ১৭ জনের আর যন্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজন হয়নি। এমনকি মোট ৫৩ রোগীর অর্ধেকই ওষুধটির কারণে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরে গেছেন।
অবশ্য চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আরও ১৩ শতাংশ। যারা ভেন্টিলেটর ব্যবহারে বাধ্য হয়েছিলেন, মৃতের সংখ্যায় তাদের প্রতিনিধিত্ব ছিল ১৮ শতাংশ।
এই প্রেক্ষিতে গিলিয়াড গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক জনাথন গ্রেইন বলেন, আলোচিত চিকিৎসা গবেষণার মাধ্যমে পাওয়া সফলতা বা তথ্য থেকে এই মুহূর্তেই কোন উপসংহার টানতে চাইছি না আমরা। তবে এই পর্যবেক্ষণ, আমাদের সফলতার ব্যাপারে বেশ আশাবাদী করে তুলেছে।