বাংলাদেশ বিশ্বের সামনে সহানুভূতি ও উদারতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে: প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে বাইডেন
বিশ্বজুড়ে শান্তিরক্ষা ও মহামারি মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পাশাপাশি ওই চিঠিতে গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গভীর গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।
১৯৭১ সালে দেখানো সাহস এবং মুক্তি ও স্বাধীনতার মূল্য বোঝার জন্য দেশের ৫৩তম স্বাধীনতা দিবসে তিনি শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানান।
বাইডেন লিখেছেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আপনাকে ও বাংলাদেশের জনগণকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাই। বাংলাদেশের জনগণ মুক্তি ও স্বাধীনতার মূল্য গভীরভাবে বোঝে, কারণ নিজেদের ভাগ্য বেছে নিতে এবং নিজ ভাষায় কথা বলতে ১৯৭১ সালে তারা সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছে।'
দুই দেশই যে গণতন্ত্রকে সমানভাবে গুরুত্ব দেয়, তা উল্লেখ করে বাইডেন বলেছেন, 'বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচন এগিয়ে আসছে। এই সময় আমি স্মরণ করছি, আমাদের উভয় দেশের জনগণ গণতন্ত্র, সমতা, মানবাধিকারের প্রতি সম্মান এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়।'
চিঠিতে তিনি শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সবচেয়ে বড় অবদান রাখা দেশ হিসেবে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের রক্ষায় বাংলাদেশ যে অঙ্গীকার দেখিয়েছে, তার জন্য সাধুবাদ জানিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বৈশ্বিক মহামারির ইতি ঘটানোর রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতিকে উল্লেখযোগ্যভাবে সামনে এগিয়ে নেওয়া গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যান মন্ত্রী পর্যায়ের যৌথ আয়োজনের জন্যও বাংলাদেশকে ধন্যবাদ দেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে ৫০ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্কের প্রসঙ্গে জো বাইডেন বলেন, 'অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রগতি, জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করা, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও জলবায়ু সমস্যা মোকাবিলা করা, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক প্রতিক্রিয়ায় অংশীদার হওয়া এবং সমৃদ্ধ, নিরাপদ, গণতান্ত্রিক ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি'সহ দুই দেশ একসঙ্গে অনেক কিছু অর্জন করেছে।
রোহিঙ্গা সংকটের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করে তিনি সহানুভূতি ও উদারতা চর্চার উদাহরণ স্থাপনের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।
বাইডেন লিখেছেন, 'বাংলাদেশ দুই বাহু বাড়িয়ে প্রায় ১ মিলিয়ন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে গ্রহণ করেছে। আপনারা বিশ্বের সামনে সহানুভূতি ও উদারতা চর্চার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের দীর্ঘমেয়াদি সমাধান বের করতে এবং নৃশংসতার হোতাদের জবাবদিহি নিশ্চিতের জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।'
মার্কিন প্রেসিডেন্ট চিঠি শেষ করেন 'জয় বাংলা' বলে।