দেউলিয়াত্বের ঝুঁকিতে মধ্যপ্রাচ্যের সর্ববৃহৎ দুই এয়ারলাইন্স এমিরেটস ও ইতিহাদ
সরকারের তরফ থেকে আর্থিক প্রণোদনা না দেওয়া হলে চলতি বছরের শেষ নাগাদ নিজেদের বৈশ্বিক ব্যবসার ৮৫ শতাংশ দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে মধ্যপ্রাচ্যের সর্ববৃহৎ দুই এয়ারলাইন্স- ইতিহাদ ও এমিরেটস।
ইউএস-ইউএই বিজনেস কাউন্সিল প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে এমন আশঙ্কার কথা জানান এমিরেটসের প্রেসিডেন্ট টিম ক্লার্ক এবং ইতিহাদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টনি ডগলাস। এসময় তারা ২০২৩ সালের আগে আকাশপথে যাত্রী পরিবনে করোনাভাইরাস পূর্ব স্বাভাবিক অবস্থা ফিরবে না বলেও জানান।
বিশ্ব মহামারির প্রেক্ষিতে এখন পুরো দুনিয়ায় আকাশপথে ভ্রমণের সংখ্যা একেবারেই তলানিতে। যাত্রী না থাকায় বন্ধ আকাশপথে ভ্রমণের অন্যতম দুই সংযোগ কেন্দ্র দুবাই এবং আবুধাবির বিমানবন্দর। মূলত, এদুই বিমানবন্দর থেকেই ইতিহাদ ও এমিরেটস তাদের বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিচালনা করতো। খবর ব্লুমবার্গের।
এয়ারলাইন্স দুটির প্রধানেরা জানান, বিদেশ ভ্রমণ করেলি দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টিন, করোনা পরীক্ষা এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার মতো নানা কারণে আকাশপথে ভ্রমণের প্রতি কেউই আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এই অবস্থায় কোনো কার্যকর প্রতিষেধক আবিষ্কারের আগ পর্যন্ত ব্যবসায়িক কার্যক্রমে স্বাভাবিক গতি ফেরার কোনো সম্ভাবনাও নেই।
এর আগে গত মাসে দুবাইভিত্তিক এমিরেটসকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেয় সেখানকার রাজ্য সরকার।
করোনা প্রতিরোধের চেষ্টায় নানা দেশের সরকার যেভাবে ব্যাপকহারে লকডাউন চালু করেছে এবং বহিভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে- তার প্রথম অর্থনৈতিক ক্ষতির শিকার হয় এয়ারলাইন্সগুলোর ব্যবসা।
আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থার মতে, বর্তমানে বিশ্বের ৭০ শতাংশ যাত্রী পরিবাহী উড়োজাহাজের উড্ডয়ন বন্ধ আছে। এর ফলে শুধু চলতি বছরেই ৩১ হাজার ৪শ কোটি ডলার শুধু টিকেট বিক্রি বন্ধ থাকার কারণেই এয়ারলাইন্সগুলোর লোকসান হবে।