গাধা দিবস: হাসতে মানা!
আজ বিশ্ব গাধা দিবস। এ উপলক্ষে চলুন পড়ে নেওয়া যাক গাধাবিষয়ক কিছু কৌতুক।
১
এক লোক প্রতিদিন সকালে গাধা নিয়ে সীমান্ত পার হয়। প্রতিদিনই তার গাধার পিঠে থাকে শুধু কয়েক বস্তা খড়। লোকটা সীমান্তে পৌঁছলেই কর আদায়কারীরা তার বস্তা তল্লাশি করে দেখে রপ্তানিযোগ্য কোনো জিনিস আছে কি না, যার ওপর কতটুকু শুল্ক ধার্য করা যায়। কিন্তু কোনোদিনই তারা কিছু পায়। অথচ প্রতিদিনই সন্ধ্যায় কর কর্মকর্তারা দেখে, ওই লোকটা শহরের কোনো টি হাউস অথবা রেস্তোরাঁয় দুহাতে টাকা ওড়াচ্ছে। আর বুক ফুলিয়ে বলছে, সে আসলে চোরাচালানকারী, কারও বাপের সাধ্য নেই তাকে ধরে।
লোকটার এহেন দুঃসাহসী চোটপাটে খাপ্পা হয় কর আদায়কারীরা রোজই মহা উৎসাহে তার খড়ের বস্তা ঘাঁটাঘাঁটি করে। তারা খড় নড়াচড়া করে, কেটে টুকরো টুকরো করে, বস্তার কাপড় কেটে দেখে, লোকটার হ্যাট পরখ করে, তার দাড়ির জঙ্গলেও তল্লাশি চালায়, এমনকি চামড়ার ভেতরে লুকানো পয়সা খুঁজে পাওয়ার আশায় তার জুতাও কেটে দেখে। কিন্তু কোনো লাভ হয় না। রোজ সন্ধ্যায় শহরের রেস্তোরাঁয় তাকে ঠিকই দুহাতে টাকা ওড়াতে আর বড়াই করতে দেখা যায়। বরং তার টাকা খরচের হাত যেন দিন দিন আরও বেড়ে চলে। সে এমনকি কর আদায়কারীদের মদ ও খাবারও খাওয়ায়। সেইসাথে নিজের চোরাচালানের গল্প ফাঁদে। বছরের পর বছর ধরে কর কর্মকর্তারা খড়ের বস্তায় তল্লাশি চালিয়ে যায়, কিন্তু কোনো ফল পায় না।
এভাবে চোরাচালানকারী লোকটার আয়-রোজগার বেড়েই চলে। আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার পর অবশেষে সে আয়েশ করে সয়সম্পত্তি ভোগ করার জন্য আরেক শহরে গিয়ে থিতু হয়। কয়েক বছর কেটে গেল। তারপর একদিন বাজারে তার সঙ্গে দেখা হলো এক অবসরপ্রাপ্ত কর কর্মকর্তার। পুরনো শত্রুকে পেয়ে কর কর্মকর্তা জিজ্ঞেস করল:
'মিস্টার, অনেক বছর ত হয়ে গেল। আমিও আর চাকরিতে নেই। দুজনেরই বয়স হয়েছে। এখন তো বলবে তুমি প্রতিদিন কী চোরাচালান করতে?'
চোরাচালানকারী উত্তর দিল: 'গাধা।'
২
এক ঘোড়া আর এক গাধার পরিচয় হলো। তারপর গাধা গেল ঘোড়ার বাড়িতে মদ খেতে। ঘোড়ার বাড়ির দেয়ালে দেখতে পেল নানান মেডেল, ট্রফি আর রিবন।
গাধা জিজ্ঞেস করল: 'এসব কীসের পুরস্কার পেয়েছ?'
ঘোড়া: 'আমি রেসে দৌড়াতাম। খুব ভালো দৌড়াতাম। তাই জিতে ওসব মেডেল আর ট্রফি পেয়েছি।'
মদ খাওয়া শেষ হলে ওরা স্থির করল পরের হপ্তায় গাধার বাড়িতে আড্ডা দেবে।
গাধা ভাবছে, ঘোড়ার বাড়ির দেয়ালে কত কত পুরস্কার ঝোলানো, অথচ তার নিজের বাড়ির দেয়াল একেবারে খালি। তাই কী করা যায় ভাবতে লাগল সে। শেষমেশ একটা বুদ্ধি এল গাধার মাথায়। চিড়িয়াখানায় গিয়ে একটা জেব্রার ছবি তুলল সে। তারপর ওটা ফ্রেমে বাঁধাই করিয়ে ঝুলিয়ে দিল নিজের বাড়ির দেয়ালে।
পরের সপ্তায় ঘোড়া এল গাধার বাড়িতে। মদ্যপানের এক পর্যায়ে ঘোড়া জিজ্ঞেস করল: 'তোমার দেয়ালে ওটা কীসের ছবি?'
গাধা: চিনতে পারছ না আমাকে? আমি যখন জুভেন্টাসে খেলতাম, তখনকার ছবি ওটা।'
৩
সহকারী ও দেহরক্ষী পরিবেষ্টিত হয়ে এক আধুনিক শিল্প প্রদর্শনীতে ঢুকলেন ভ্লাদিমির পুতিন। ঢুকেই তিনি জিজ্ঞেস করলেন: 'সবখানে দেখছি সবুজ বৃত্তের ভেতরে হলুদ ফুটকি। এটা কী?'
তার সহকারী জবাব দিল: 'এটা পেইন্টিং, প্রেসিডেন্ট পুতিন। এতে দুইশ মিলিয়ন খাদ্যশস্য উৎপাদনের যে লক্ষ্য আমরা নিয়েছি, সেই লক্ষ্য অর্জনে আমাদের বীর কৃষকদের লড়াই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।'
'ও-ও-ও! তা লাল ফিতাওয়ালা এই কালো ত্রিভুজগুলো কী জিনিস?'
'এই পেইন্টিংয়ে কারখানায় আমাদের বীর শিল্প শ্রমিকদের সংগ্রাম ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।'
'আর গাধার কানওয়ালা এই বামনটা কীসের পেইন্টিং?'
'মি. প্রেসিডেন্ট, ওটা পেইন্টিং না, আয়না।'
৪
রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে দুই গাধা।
এক গাধা অন্যটাকে জিজ্ঞেস করল: 'রাস্তা পেরোব না?'
তার বন্ধু উত্তর দিল: 'প্রশ্নই ওঠে। দেখছিস না, জেব্রার কী হাল হয়েছে?'
৫
এক লোক তার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করল: একটা গাধার কয়টা দাঁত থাকে, বলো তো?
তার স্ত্রী জবাব দিল: জানি না, সোনা। আয়নার সামনে যাও, তারপর মুখ খুলে গুনে নাও।
৬
দুই সন্ত্রাসী বার-এ বসে আলোচনা করছে। ওয়েটার এসে জানতে চাইল আলোচনা হচ্ছে কী নিয়ে।
সন্ত্রাসী: ১৪ হাজার মানুষ আর একটা গাধা মারার প্ল্যান করছি আমরা।
ওয়েটার: কেন, গাধা মারবেন কেন?
সন্ত্রাসী তার সঙ্গীর দিকে ফিরে বলল: 'বলেছিলাম না, ১৪ হাজার মানুষ খুন নিয়ে কেউ মাথা ঘামাবে না?'