নতুন আইন পাশ হলে ঋণের জামানত হিসেবে ব্যবহার করা যাবে মেধাস্বত্ত্ব, অ্যাপস, সফটওয়্যার
মেধাস্বত্ত্ব, অ্যাপস, সফটওয়্যারের মত অস্থাবর সম্পত্তিকে যাতে ব্যাংক ঋণের জামানত হিসেবে বিবেচনা করা হয়, সেজন্য একটি আইনের খসড়ার চুড়ান্ত অনুমোদন নিয়েছে মন্ত্রিসভা।
বর্তমানে, বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো প্রাথমিকভাবে ঋণের জামানত হিসাবে স্থাবর সম্পত্তিকে গণ্য করে। প্রস্তাবিত আইনটি প্রণীত হলে, মোট ১৬টি ধরনের অস্থাবর সম্পদ ব্যাংক ঋণের জন্য গ্রহণযোগ্য জামানত হিসেবে স্বীকৃত হবে।
এই প্রগতিশীল উদ্যোগের লক্ষ্য হলো, ঋণের বেলায় ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীদের বিকল্প সুযোগ দেওয়ার মাধ্যমে অর্থায়নের পরিধি বাড়ানো।
সংসদে পাস হলে, আইনটি ঋণগ্রহীতাদের জন্য নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আসবে। বিশেষ করে যারা স্থাবর সম্পত্তির অধিকারী না কিন্তু মূল্যবান অস্থাবর সম্পদের অধিকারী।
'সুরক্ষিত লেনদেন (অস্থাবর সম্পত্তি) আইন, ২০২৩' পাশ হলে ১৬ ধরনের অস্থাবর সম্পত্তি জামানত রেখে ঋণ দিতে পারবে ব্যাংকগুলো।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ আইনের খসড়ার চুড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
তিনি বলেন, অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে জ্ঞান ও মেধাস্বত্ত্ব, অ্যাপস, সফটওয়্যার, স্বর্ণ, রৌপ্য ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতু, শেয়ার, আসবাবপত্র, ইলেকট্রনিক পণ্য, যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক যানবাহন, জলজ প্রাণী, বন্য প্রণী, আয়বর্ধক জীবজন্তু, মজুদ করা কৃষিপণ্য, বার্ষিক ভাতা ও বীমা পলিসির অধীন প্রাপ্য তহবিল ইত্যাদি বিবেচিত হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বর্তমানে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান গাড়ি, শেয়ার, এফডিআরের মত অস্থাবর সম্পত্তি জামানত নিয়ে ঋণ দেয়। কিন্তু এর কোনো আইনগত ভিত্তি ছিলো না।
বাংলাদেশে সাধারণত ভবন ও জমি জামানত রেখে ঋণ দেয় ব্যাংকগুলো। পর্যাপ্ত জামানতের অভাবে অনেক উদ্যোক্তা ঋণ পান না। এই আইন পাশ হলে মেধাভিত্তিক উদ্যোক্তাদের মূলধন প্রাপ্তি সহজ হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, সিকিউরড ট্রানজেকশন রেজিষ্ট্রেশন কর্তৃপক্ষ নামে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হবে। সেই কর্তৃপক্ষের কাছে অস্থাবর সম্পত্তির নিবন্ধন নিতে হবে এবং তারাই ওই সম্পদের মূল্য নির্ধারণ করবে।
মাহবুব হোসেন বলেন, মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে কমিউনিটি ক্লিনিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার বিষয়ে কমিউনিটি ক্লিনিক একটি অনন্য উদ্যোগ। এটি দেশে ও বিদেশে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের সাফল্যের বিষয় নিয়ে ১৬ মে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে, সেখানে প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে বিশেষভাবে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
এটিকে শেখ হাসিনার উদ্যোগ নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ জন্য মন্ত্রিসভা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরও কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।