কেইনকে পেতে ইউনাইটেড-রিয়াল-বায়ার্নের ত্রিমুখী লড়াই
টটেনহাম হটস্পার্সের প্রায় ১০ বছর কাটিয়ে দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো শিরোপার স্বাদ পান নি হ্যারি কেইন। ইংল্যান্ড জাতীয় দলের অধিনায়ক স্পার্সের হয়ে গোলের বন্যা বইয়ে দিলেও সেগুলো ব্যক্তিগত অর্জনের পাল্লাই ভারি করেছে কেবল।
এই মৌসুমেও যেমন প্রিমিয়ার লিগে ২৮ গোল করেও দলকে সেরা ছয়েও রাখতে পারেননি কেইন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ তো দূরে থাক, ইউরোপা লিগেও আগামী মৌসুমে জায়গা হয়নি স্পার্সের। ক্যারিয়ারের এমন পর্যায়ে এসে শিরোপা জিততে চাইতেও পারেন কেইন। স্পার্সে থাকলে যা আপাত দৃষ্টিতে সম্ভব নয়।
তাই স্পার্স ছাড়ার কথা ভাবছেন কেইন, ইংলিশ গণমাধ্যমে গুঞ্জন এমনটাই। কিন্তু কেইন যাবেন কোথায় সেটিও একটি বড় প্রশ্ন। ২৯ বছর বয়সী স্ট্রাইকারকে পেতে চায় অনেক ক্লাবই। যাদের মধ্যে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, বায়ার্ন মিউনিখ এমনকি রিয়াল মাদ্রিদও।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অনেক দিন ধরেই স্ট্রাইকার খরায় ভুগছে। কেইনের চেয়ে ভালো তাদের জন্য আর কে হতে পারেন! প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা কেইনও ইউনাইটেডে গেলে রেকর্ড ভাঙার সুযোগ পাবেন। ইউনাইটেড চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলা নিশ্চিত করায় সেখানেও অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকবে তার। কিন্তু স্পার্স নিজেদের সরাসরি কোনো প্রতিপক্ষের কাছে কেইনকে বিক্রি করতে চায় না। তাই ইউনাইটেডে যাওয়ার পথটা একটু কঠিনই হবে কেইনের জন্য।
এক্ষেত্রে বায়ার্ন মিউনিখ কিংবা রিয়াল মাদ্রিদে সহজেই যেতে পারবেন কেইন। ইংল্যান্ড অধিনায়ককে পেতে আগ্রহী জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন। লেভানডোভস্কি চলে যাওয়ার পর থেকেই স্ট্রাইকার সংকটে ভুগছে ক্লাবটি। বায়ার্ন কোচ টমাস টুচেলও কেইনের গুনাগ্রহী বলেই গুঞ্জন।
এদিকে রিয়াল মাদ্রিদে সময় ফুরিয়ে আসছে করিম বেনজেমার। কিছুদিনের মধ্যেই ৩৬ বছর পূর্ণ হবে ফরাসি স্ট্রাইকারের। নিজেদের আক্রমণভাগের দায়িত্ব কেইনের কাছেই তুলে দিতে আগ্রহী লস ব্লাঙ্কোসরা। সেক্ষেত্রে কেইনকে পেতে টাকার পাশাপাশি ইডেন হ্যাজার্ডকে স্পার্সের সঙ্গে অদল-বদল করতেও আপত্তি নেই রিয়ালের।
সবমিলিয়ে সামনের গ্রীষ্মকালীন দলবদলে হ্যারি কেইনকে নিয়ে ত্রিমুখী যুদ্ধ দেখা যেতে পারে। সেখানে যে ক্লাবই জিতুক না কেন, হ্যারি কেইনের মতো দুর্দান্ত এক স্ট্রাইকারকে পাবে তারা।