মস্কোতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা
মঙ্গলবার সকালে ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় কেঁপে উঠেছে রাশিয়ার রাজধানী মস্কো। এক রাজনীতিকের বরাতে রুশ কর্তৃপক্ষ বলেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রাজধানীতে এটিই সবচেয়ে গুরুতর হামলা। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ তিন দফা হামলার শিকার হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিবেশি দেশটিতে রাশিয়ার সৈন্য প্রেরণের পর ইউক্রেনের অভ্যন্তরেই মূল যুদ্ধ সংঘটিত হয়ে আসছে। যদিও মস্কো তার ভূখণ্ডে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হত্যা চেষ্টা সহ বেশ কিছু হামলার অভিযোগ তুলেছে।
মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন জানিয়েছেন, ভোরের ড্রোন হামলায় অন্তত দু'জন আহত হয়েছে এবং দুটি অ্যাপার্টমেন্ট সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, কিয়েভ আটটি ড্রোন প্রেরণ করে এবং সবগুলোকেই গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। যদিও দেশটির নিরাপত্তা পরিষেবার সাথে যুক্ত টেলিগ্রাম চ্যানেল বাজা বলছে, হামলায় ২৫টির বেশি ড্রোন জড়িত ছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভিডিওতে রাশিয়ার রাজধানীর আকাশে ধোঁয়ার চিহ্ন দেখা গেছে।
এদিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি হামলার পর মঙ্গলবারের ড্রোন হামলাকে মস্কোর উপর সবচেয়ে গুরুতর হামলা বলে অভিহিত করেছেন আইনপ্রণেতা ম্যাক্সিম ইভানভ। তিনি বলেন, কোন নাগরিকই এখন এই 'নয়া বাস্তবতা' এড়াতে পারবে না।
সপ্তাহ দুয়েক আগেও ক্রেমলিনের ওপর দিয়ে দুটি ড্রোন বিস্ফোরণ ঘটায় রাশিয়া কিয়েভকে দোষারোপ করে বলে যে, পুতিনকে লক্ষ্য করে সে হামলা চালানো হয়েছিল।
অন্যদিকে কিয়েভে অবস্থান করা ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, মঙ্গলবার তারা ইরানের তৈরি ২০টিরও বেশি শাহেদ ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে।
চলতি মে মাসে এখন পর্যন্ত রাশিয়া ১৭ বার কিয়েভে ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে; আর এর বেশিরভাগই হয়েছে রাতে।