ট্রাভেল পাস পেলেন সালাহউদ্দিন, তিন মাসের মধ্যে ফিরতে হবে দেশে
ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সোমবার ভ্রমণ অনুমোদন বা ট্রাভেল পাস পেয়েছেন।
এই অনুমোদনের শর্ত অনুযায়ী, আগামী তিন মাসের মধ্যে তাকে বাংলাদেশে ফিরতে হবে বলে আজ মঙ্গলবার দৈনিক প্রথম আলোকে জানিয়েছেন সালাহউদ্দিন।
তিনি জানান, সোমবার গুয়াহাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনারের অফিস থেকে ট্রাভেল পাসের বিষয়টি তাকে জানানো হয়। রাতে সেটি তার হাতে পৌঁছায়।
এর আগে গত ৮ মে সালাহউদ্দিন ভ্রমণ অনুমোদনের জন্য ভারতের আসাম রাজ্যে আবেদন করেন। আবেদনে তিনি বলেন যে, ২০১৫ সালে থেকে ভারতে আটকে আছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলায় ইতিমধ্যে খালাস পেয়েছেন তিনি।
২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাতে 'নিখোঁজ' হন সালাহ উদ্দিন আহমেদ। রাজধানীর উত্তরা সেক্টর-৩ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে তুলে নিয়ে গেছে বলে সেসময় অভিযোগ করে তার পরিবার। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ অভিযোগ অস্বীকার করে।
প্রায় দুই মাস নিখোঁজ থাকার পর ২০১৫ সালের ১১ মে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে সালাহউদ্দিনের খোঁজ পাওয়া যায়।
বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে, ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার দেখায় মেঘালয় থানা পুলিশ। একই বছরের ২২ জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়।
২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর নিম্ন আদালতের রায়ে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে করা মামলা থেকে বেকসুর খালাস পান। কিন্তু, ভারত সরকার এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। এর ফলে তিনি আর তখন দেশে ফিরতে পারেননি। এর দীর্ঘ চার বছর পর নিম্ন আদালতের ওই রায় বহাল রেখে ভারত সরকারকে দ্রুততর সময়ের মধ্যে সালাহউদ্দিনকে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন শিলং জজ আদালত।
১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন সালাউদ্দিন। এরপর প্রশাসনের চাকরি ছেড়ে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন। ২০০১ সালে তিনি কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিনি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হন। ভারতে আটকের সময় সালাহউদ্দিন আহমেদ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ভারতে আটক অবস্থায় বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে তিনি দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হন।