বাংলাদেশ ব্রিকসে যোগ দিচ্ছে
সদস্য সংখ্যায় সম্প্রসারিত হতে চলেছে ব্রিকস। আগামী আগস্টে এর সদস্য হওয়ার আশাও করছে বাংলাদেশ। ব্রিকসের একাংশের রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মুদ্রা ডলারের আধিপত্য মোকাবিলায় নতুন বিশ্বব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য। এসকল প্রেক্ষাপটে ব্লকটিতে যোগদানের সুবিধা-অসুবিধা কি হবে তা নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন বিশ্লেষকরা।
গত বুধবার (১৪ জুন) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, এই বছরের আগস্টেই ব্রিকসের সদস্য হতে পারে বাংলাদেশ।
এদিন জেনেভায় প্যালেস ডি নেশনসের দ্বিপক্ষীয় বৈঠককক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার মধ্যে বৈঠক হয়। এই বৈঠকের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রিফিংয়ে বলেন, ব্রিকস ব্যাংক সম্প্রতি বাংলাদেশকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। ভবিষ্যতে এই জোটে যোগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানাবে ব্রিকস।
ব্রিকসে রয়েছে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা – বৈশ্বিক জিডিপিতে যাদের সম্মিলিত অবদান জি-৭ ভুক্ত ধনী দেশগুলোর চেয়েও বেশি। তাই এতে বাংলাদেশের যোগদানের সিদ্ধান্তকে বৈদেশিক সম্পর্ক ও মুদ্রা বহুমুখীকরণের উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ব্রিকসে যোগ দিলে তাৎক্ষণিক সুবিধা কি কি পাওয়া যাবে- সেগুলো এই মুহূর্তে স্পষ্ট না হুলেও, বিশ্লেষকরা মনে করেন, জোটটি যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র এবং মার্কিন ডলারের আধিপত্য হ্রাসের লক্ষ্যে সক্রিয়ভাবে সম্প্রসারিত হচ্ছে তাই মধ্য থেকে দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা পাওয়া যাবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইন্দোনেশিয়াকে ব্রিকসে যোগদানের আমন্ত্রণ করা হয়েছে। আগামী আগস্ট মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকসের সম্মেলনে এসব দেশ জোটটিতে যোগ দিতে পারে।
বিশ্বের উন্নয়নশীল অর্থনীতিগুলোর বৃহত্তম জোট হওয়ার পাশাপাশি- তাদের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তির আলোকে এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন গবেষণা সংস্থা- সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-র সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, ব্রিকসে যোগ দিলে এসব দেশের সাথে সম্পর্ক আরও গভীর হবে বাংলাদেশের। বৈদেশিক সম্পর্কে আরও বৈচিত্র্য আনার সহায়ক হবে'। ব্রিকস দেশগুলোর মধ্যে, চীন ও ভারত বাংলাদেশের শীর্ষ দুই বাণিজ্য অংশীদার, আমদানির প্রায় ৪০ শতাংশই এ দুই দেশ থেকে করা হয়।
সম্প্রতি চীনের সাংহাইয়ে ব্রিকসের গঠিত নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি)-র বার্ষিক সভার সাইডলাইনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচনায় অংশ দেন অধ্যাপক মুস্তাফিজুর। তিনি জানান, অক্টোবরে বিকল্প মুদ্রা চালুর বিষয়টি বিবেচনা করছে এনডিবি; এতে বাংলাদেশও তার মুদ্রা এবং মার্কিন ডলারের বাইরে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ বহুমুখীকরণে সুবিধা পাবে।
এরমধ্যেই ২০২১ সালে এনডিবির সদস্য হয়েছে বাংলাদেশ। অধ্যাপক মুস্তাফিজ মনে করেন, এবার ব্রিকস সদস্য হলে এই ব্যাংকের তহবিল পাওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিজস্ব মতামত তুলে ধরার বাড়তি শক্তি পাবে বাংলাদেশ।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান- পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষণা পরিচালক ড. এম এ রাজ্জাক-ও বাংলাদেশের ব্রিকসে যোগদানের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান।
তবে তিনি এটাও বলেন, 'আমাদের স্মরণে রাখতে হবে এটা কোনো বাণিজ্য জোট নয়, তাই যোগ দিলে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো অর্থনৈতিক সুবিধা পাওয়া যাবে না।'
অ্যাপ্লায়েড ট্রেড এবং উন্নয়ন বিষয়ের একজন বিশেষজ্ঞ অর্থনীতিবিদ ড. রাজ্জাক। তিনি বলেছেন, বৈচিত্রময় এই গ্রুপে যোগদানের পরোক্ষ নানান সুবিধা পাওয়া যাবে। এতে বাংলাদেশ বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয়ে আরও সক্রিয় হতে পারবে, এবং ব্রিকসের সভায়– প্রযুক্তি হস্তান্তর ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রসারের মতো নানান এজেন্ডা নির্ধারণে ভূমিকা রাখতে পারবে।
এছাড়া, বিশ্বের সবচেয়ে বড় উন্নয়নশীল দেশগুলোর জোট-সদস্য হিসেবে বিনিয়োগকারীরা যদি বাংলাদেশকে বিবেচনা করে –তাহলে বৈদেশিক বিনিয়োগ আসার মাধ্যমে তাৎক্ষণিক সুবিধা পাওয়া যাবে। পাশাপাশি সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির সম্ভাবনাও আছে।
'ব্রিকসে যোগ দিলে অনেক বিষয়ে আলোচনার পথ উন্মুক্ত হবে, এতে বিভিন্ন সুবিধা লাভের ক্ষেত্রেও অগ্রাধিকার পাবে বাংলাদেশ'- তিনি বলছিলেন।
ব্রিকসের একক মুদ্রা চালুর বিষয়ে তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো ব্রিকস সদস্য দেশগুলো একক মুদ্রানীতি অনুসরণ করার মতো অবস্থানে না থাকায়- এই মুহূর্তে সেটা করা খুবই কঠিন হবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম. হুমায়ুন কবির ব্রিকসকে একটি 'শিথিল ধরনের অর্থনৈতিক জোট' বলে অভিহিত করেন, যেখানে অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতা রয়েছে।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও ভূরাজনীতি দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে, সেই প্রেক্ষাপটে বহুপাক্ষিক ফোরামগুলোর সাথে সম্পৃক্ত হওয়াটা দোষনীয় নয়।
২০১০ সালে অবসর নেওয়া এই অভিজ্ঞ কূটনীতিক বলেন, 'ব্রিকসে যোগ দেওয়া বা না দেওয়ার লাভ-ক্ষতির একটা বিশ্লেষণ করা গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু এই গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে ডি-ডলারাইজেশন ও অভিন্ন মুদ্রা চালুর মতোন পরিকল্পনা রয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'ব্রিকসে এই দুটি বিষয় জড়িত থাকায়, সেখানে ভূরাজনীতিও জড়িত, ফলে যুক্তরাষ্ট্র অসন্তুষ্ট হতেও পারে।'
সম্প্রসারণের পথে ব্রিকস
ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা—এই পাঁচটি দেশের আদ্যক্ষর নিয়েই নামকরণ হয় ব্রিকস। এক দশকের বেশি সময় পর জোটটি প্রথমবারের মতো বড় পরিসরে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে গ্লোবাল সাউথ বা উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতিনিধি হিসেবে নিজস্ব অবস্থান দৃঢ়করণ এবং গ্রুপ অব সেভেন (জি-৭)-ভুক্ত উন্নত দেশগুলোর বিকল্প মডেল দাঁড় করানোর লক্ষ্যও রয়েছে ব্রিকসের।
ব্রিকসে দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূত অনীল সুকলালের মতে, অন্তত ২০টি দেশ ব্রিকস সদস্যপদ লাভের আবেদন করেছে। ২০২২ সালে ব্রিকসের চেয়ারম্যান পদে থাকার সময়ে প্রথমে চীন এই সম্প্রসারণের পরামর্শ দেয়, যা বাস্তবায়িত হলে আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব বাড়বে। আগ্রহী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- সৌদি আরব, মিশর, নাইজেরিয়া, মেক্সিকো, ইরান, ইন্দোনেশিয়া ও তুরস্কসহ অন্যান্য দেশ।
তবে জোটে যোগদানের বিষয়ে অগ্রগতি করছে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইন্দোনেশিয়া।
এর মধ্য দিয়ে ব্রিকসের নেতৃত্বের ওপর উন্নয়নশীল বিশ্বের আস্থার প্রতিফলন ঘটায় – বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন সুকলাল।
চলতি বছরের মে মাসে জাপান টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে, সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের আমেরিকাস প্রোগ্রামের পরিচালক রায়ান বার্গ বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন পরবর্তীকালে উন্নয়নশীল বিশ্বের দেশগুলোর জন্য ব্রিকসের প্রাসঙ্গিকতা আরও বেড়েছে। এসব দেশ পশ্চিমা দুনিয়ার 'গণতন্ত্র বনাম স্বৈরাচারের' যে ধারাভাষ্য- তার বিরোধিতা করতে চাইছে।
চলতি বছরের ১ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে এক বৈঠকে যোগ দেন ব্রিকস দেশগুলোর পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পর্ক মন্ত্রীরা। সেখান থেকে তারা এক যৌথ বিবৃতি দেন। এতে তারা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে (পশ্চিমা বিশ্বের) একতরফা ব্যবস্থার কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে (ক্ষতিকর) প্রভাব পড়েছে তা উল্লেখ করেন। নিষেধাজ্ঞা, বয়কট, অবরোধের মতোন একতরফা অর্থনৈতিক জবরদস্তিমূলক ব্যবস্থা যে পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে সেদিকেও আলোকপাত করা হয় বিবৃতিতে।
যৌথ বিবৃতিতে ব্রিকস সদস্য এবং তাদের ব্যবসায়িক অংশীদারদের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং আর্থিক লেনদেনে স্থানীয় মুদ্রার ব্যবহার প্রসারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
অর্থনীতি চাঙ্গা করতে ব্রিকস সম্প্রসারণ
ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সমন্বয়ে গঠিত ব্রিকস ব্লক সক্রিয়ভাবে সম্প্রসারিত হচ্ছে। এবং এই জোট মার্কিন ডলারের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করতে নতুন একটি অর্থনৈতিক কাঠামো প্রতিষ্ঠার বিষয়ে কাজ করছে।
বৈশ্বিক জিডিপিতে মোট অবদানের দিক থেকে ব্রিকস ইতোমধ্যে জি-৭ অর্থনীতিগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে। একটি প্রক্ষেপণে অনুমান করা হয় যে ২০৩০ সালের মধ্যে ব্রিকস দেশগুলো বৈশ্বিক জিডিপিতে ৫০ শতাংশের বেশি অবদান রাখবে। জোটের প্রস্তাবিত সম্প্রসারণ এই প্রবণতাকে আরও ত্বরান্বিত করবে।
সম্প্রসারণের বাইরেই বর্তমানে ব্রিকস দেশগুলোর মোট জনসংখ্যা রয়েছে ৩৪২ কোটি, যা বৈশ্বিক জনসংখ্যার ৪২ শতাংশ। ২০২১ সালে এই জোট বৈশ্বিক জিডিপিতে ৩১.৫ শতাংশ বা ২৬.০৩ ট্রিলিয়ন ডলারের সমান অবদান রাখে। আর বিশ্ববাণিজ্য তাদের অবদান ১৮ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া এবং বাংলাদেশের মতো দেশগুলো যোগ দিলে বৈশ্বিক জিডিপি ও বাণিজ্যে ব্রিকসের অবদান উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে।
ব্রিকসের ডলার ব্যবহার থেকে সরে আসার লক্ষ্য
২০১৫ সালে নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি) প্রতিষ্ঠা করে ব্রিকস। এরপর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং উরুগুয়েকে নতুন সদস্যপদ দিয়ে মোট সদস্য সংখ্যা আটটিতে নিয়ে আসে। এছাড়া আরও তিনটি দেশ আর্জেন্টিনা, সৌদি আরব ও জিম্বাবুয়েকে নতুন সদস্য হিসেবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এনডিবির নতুন প্রধান ব্রাজিলের সাবেক বামপন্থী প্রেসিডেন্ট দিলমা রুসেফ সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন যে, ব্যাংকটি পর্যায়ক্রমে মার্কিন ডলার থেকে সরে আসছে। সদস্য দেশগুলোকে দেওয়া ঋণের অন্তত ৩০ শতাংশ স্থানীয় মুদ্রায় দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য ডলারের ওপর ব্রিকসের নির্ভরশীলতা হ্রাস এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে মুদ্রার বিনিময় হারের ওঠানামার নেতিবাচক প্রভাব থেকে রক্ষা করা। গত এক বছর ধরে বাংলাদেশও বিনিময়ের দরের ওঠানামায় প্রভাবিত হয়েছে।
বৈশ্বিক রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার হয় ডলার। তাই যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ মুদ্রানীতি বিশ্ব অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। ২০২২ সালের মার্চ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ আগ্রাসীভাবে সুদের হার বাড়িয়ে চলেছে। এতে উন্নয়নশীল অনেক দেশের মুদ্রার ওপর নিম্নমুখী চাপ পড়েছে। অর্থাৎ, তারা ডলারের বিপরীতে দুর্বল হয়েছে। মুদ্রার অবমূল্যায়নের কারণে তাদের পক্ষে পণ্য, কাঁচামাল আমদানি ও বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করা আরও ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে। এতে দেশগুলো থেকে পুঁজিও চলে যাচ্ছে।
এই বাস্তবতায়, চলতি মাসের শুরুর দিকে অনুষ্ঠিত এনডিবির বার্ষিক সভায় বৈশ্বিক মুদ্রা ব্যবস্থা বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন রুসেফ।
বিশ্বব্যাংকের মতোন, এনডিবিতে কোনো দেশকে ভেটোদানের ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। পর্যায়ক্রমে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে থেকে ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হয়। এছাড়া, প্রতিটি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দেশ থেকে একজন করে ভাইস-প্রেসিডেন্ট থাকাটা বাধ্যতামূলক।