ইসরায়েল-গাজা নিয়ে ‘জরুরি বিশেষ সভা’র ডাক ওআইসি’র
ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ নিয়ে আলোচনার জন্য 'জরুরি বিশেষ সভা'র ডাক দিয়েছে। সংস্থাটি 'সামরিক সংঘাতবৃদ্ধি' ও 'গাজার নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের হুমকি' বিষয়ে আলোচনা করতে চায়।
ইসলামিক সামিটের বর্তমান চেয়ার সৌদি আরব ওআইসি'র সদস্যভুক্ত দেশগুলোকে বুধবার জেদ্দায় অনুষ্ঠান হতে যাওয়া ওই সভায় যোগদানের আহ্বান জানিয়েছে।
'সৌদি আরবের আমন্ত্রণে ওআইসি গাজা ও এর আশপাশে ছড়িয়ে পড়া সামরিক পরিস্থিতি, বেসামরিক নাগরিকদের জীবনের জন্য বিপজ্জনক ক্রমশ গুরুতর পরিস্থিতি এবং এ অঞ্চলের সার্বিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার বিষয়ে উন্মুক্ত-আলোচনার উদ্দেশ্যে কার্যনির্বাহী পর্যায়ে একটি জরুরি সভা আহ্বান করছে,' নিজেদের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে জানায় সংস্থাটি।
জাতিসংঘের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম সংস্থা ওআইসি। চার মহাদেশে এটির সদস্যসংখ্যা ৫৭টি রাষ্ট্র।
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সম্ভাবনার বিষয়ে সৌদি আরবের আলোচনা স্থগিত করার দিনই ওআইসি এ জরুরি সভার ঘোষণা দিলো।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর বড়মাত্রায় আচমকা হামলা করে হামাস। ওই হামলায় ১,৩০০ ইসরায়েলি নিহত হন। পরে গাজায় ইসরায়েলের পালটা হামলায় কমপক্ষে ২,২১৫ জন নিহত হন।
ইসরায়েল এখন গাজায় স্থল অভিযান শুরু করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্ভাব্য সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের আলোচনা স্থগিত করেছে সৌদি আরব। দেশটি মার্কিন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছে।
সৌদি আরব ইসরায়েলকে কখনো স্বীকৃতি দেয়নি। এছাড়া ২০২০ সালে আব্রাহাম চুক্তিতেও স্বাক্ষর করেনি এটি।
মার্কিন মধ্যস্থতার আব্রাহাম অ্যাকর্ডে সৌদি আরবের প্রতিবেশী বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মরক্কো ইত্যাদি দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাকে সম্পর্ক স্থাপন করেছিল।