সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর আটক
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী এবং ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরকে আটক করা হয়েছে।
রোববার (৫ নভেম্বর) সকালে আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে রাজধানীর টঙ্গী এলাকায় আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তার করে র্যাব।
২৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, নাশকতা ও সহিংসতার একাধিক মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আলতাফ হোসেন।
র্যাবের মিডিয়া উইং থেকে পাঠানো বার্তায় জানানো হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে র্যাব সদর দপ্তরে আনা হয়েছে।
অন্যদিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমরকে শনিবার (৪ নভেম্বর) মধ্যরাতে ঢাকা থেকে আটক করা হয়েছে বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এর আগে শনিবার রাত আটটায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালহ প্রিন্সকে রাজধানীর বাড্ডায় তার এক আত্মীয়র বাসা থেকে ডিবি পুলিশ আটক করেছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শাইরুল কবির খান।
তাদের আটক করার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ বিএনপির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, "প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমগ্র দেশটাকে এখন বৃহৎ কারাগার বানিয়ে ফেলেছেন। একদিকে সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আহবান জানাচ্ছে, অপরদিকে সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারে ক্র্যাকডাউন শুরু হয়েছে। এটি যেন এক মহাতামাশা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক বিএনপি'র বন্ধ কার্যালয়ে ইসির চিঠি প্রেরণও ছিল আরেকটি তামাশা।"
তিনি আরও বলেন, "এবার আওয়ামী অবৈধ সরকারের এই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে দিবে না জনগণ। ধারাবাহিকভাবে নেতাকর্মীদেরকে গ্রেপ্তারে প্রচন্ড ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে এবং জনগণ আরও বলীয়ান হচ্ছে। বর্তমান সরকারের পদত্যাগ সহ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা বাস্তবায়ন ছাড়া জনগণ রাজপথ ছেড়ে ঘরে ফিরে যাবে না।"
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অবিলম্বে ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর (বীর উত্তম), আলতাফ হোসেন চৌধুরী এবং সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহবান জানান।