হাথুরুসিংহের ব্যাপারে এখনই ‘অন্য কিছু’ ভাবছে না বিসিবি
ব্যর্থতার বিশ্বকাপ গেছে বাংলাদেশের। হারের বৃত্তে বন্দী থাকা দলটি নয় ম্যাচে দুটি জয় পেয়েছে। হার মানা সাত ম্যাচের কোনোটিতে সামান্যতম লড়াইও করতে পারেনি তারা। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের দৃষ্টিতে, এটাই বাংলাদেশের স্মরণকালের সবচেয়ে বাজে বিশ্বকাপ। ব্যর্থতার দায় মেনে নিয়েছেন প্রধান কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহে।
ভারতে চলমান বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচের পর থেকে হতাশায় সময় কেটেছে বাংলাদেশের। কয়েক ম্যাচ পর থেকে ক্রিকেটারদের নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। কাঠগড়ায় তোলা হয় দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেওয়া হাথুরুসিংহেকেও।
ব্যর্থতার দায় নিলেও অনেকেই মনে করেন, প্রধান কোচের পদে হাথুরুসিংহেকে রাখা আর উচিত হবে না। দুদিন আগে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাবেক স্পিনার মোহাম্মদ রফিক জানান, কোচ বদলানো খুব জরুরি। তার মতে, লঙ্কান এই কোচ আগের মেয়াদে যা দেওয়ার দিয়েছেন, দেওয়ার মতো তার আর কিছু নেই।
যদিও বিসিবি এখনই তার ব্যাপারে ভিন্ন কিছু ভাবছে না। সোমবার দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে এমনই জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। বিসিবির এই পরিচালক বলেন, 'ভাবনা এখনও আমরা কাউকে কিছু বলছি না, আপাতত ভাবনা নেই। প্রধান কোচ, টিম ডিরেক্টর (খালেদ মাহমুদ সুজন) রিপোর্ট জমা দিক, তারপর দেখব আমরা। রিপোর্টে কী দেয়, সেটা দেখার পর আসলে কথা বলা যাবে।'
'এ ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে আমি এ নিয়ে কথা বলতেও পারি না। আমি বিসিবির মুখপাত্র নই। এটা পুরোপুরি বোর্ডের সিদ্ধান্ত। যাই করব আমরা, সেটা বোর্ডের সিদ্ধান্ত। আর এখনও এমন কিছু হয়নি। দল বিশ্বকাপ থেকে এসেছে। আমরা কোচ ও টিম ডিরেক্টরের রিপোর্টের অপেক্ষায়। বোর্ডে রিপোর্ট জমা দিক, বোর্ড দেখবে। এরপর যদি কিছু করার থাকে, অবশ্যই সেভাবে করবে। তবে আপাতত অবন্য ভাবনা নেই।' যোগ করেন তিনি।
ব্যর্থতার বিশ্বকাপ শেষে ১২ নভেম্বর দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। পেস বোলিং কোচ বিসিবির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করবেন না বলে ভারত থেকেই দেশে ফিরে গেছেন। বাকি কোচিং স্টাফরা সংক্ষিপ্ত ছুটিতে নিজেদের গন্তব্যে গেছেন। কেবল প্রধান কোচ হাথুরুসিংহেই দলের সঙ্গে দেশে ফেরেন। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের কারণে তার এই সিদ্ধান্ত।