বেনাপোল বন্দরে শুক্রবারও চালু থাকবে আমদানি
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সপ্তাহের অন্যান্য দিনের মতো শুক্রবারও বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি বাণিজ্য সচল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেনাপোল-পেট্রাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন।
তবে পণ্যবাহী শত শত ট্রাক বেনাপোল বন্দরে অপেক্ষমান থাকলেও ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সেগুলোকে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর নেতাদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ দিন শুধু ভারত থেকে পণ্য আমদানি হবে বেনাপোল বন্দরে। কোনো পণ্য রপ্তানি হবে না। কাস্টমস, বন্দর ও ব্যাংক বন্ধ থাকবে। শনিবার কাজ হবে ওই সব দপ্তরে।
বৈঠকে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে প্রায় তিন মাস বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছিল। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এর আগে বেনাপোল কাস্টমস, বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ভারত থেকে আসা মালামাল সাময়িকভাবে শুক্রবারে গ্রহণ করার জন্য চেকপোস্টে কর্মরতদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে শুক্রবারও এ পথে আমদানি কার্যক্রম চলবে। তবে গত ৭ জুন থেকে ভারত থেকে এ পথে কয়েকশ' ট্রাক পণ্য আমদানি হলেও বাংলাদেশ থেকে রপ্তানির একটি ট্রাকও গ্রহণ করেনি ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। রপ্তানি পণ্য নিয়ে শত শত বাংলাদেশি ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে বেনাপোল বন্দরে। সে ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হচ্ছে না।
যোগোযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় দেশে স্থলপথে যে পণ্য আমদানি হয় তার প্রায় ৭০ শতাংশ আসে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। প্রতি বছর এ বন্দর দিয়ে ৬০ হাজার কোটি টাকার আমদানি ও আট হাজার কোটি টাকার রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে।
আমদানি বাণিজ্য থেকে সরকারের প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা এবং রপ্তানি বাণিজ্য থেকে প্রায় আট হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হয়ে থাকে। বর্তমানের ভারতে রপ্তানি না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল বন্দরের উপ পরিচালক আবদুল জলিল।